চলতি বছরে ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবার ময়দানে নামতে চলেছে অ্যাপেল। মনে করা হচ্ছে, নেটফ্লিক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে অ্যাপেলের এই নতুন পরিষেবা। কবে এই নয়া ভিডিও স্ট্রিমিং চ্যানেল রিলিজ হবে তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়। 'দ্য ইনফরমেশন' প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি বা মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবা লঞ্চ করতে পারে অ্যাপেল।
এদিকে সূত্রের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুপারটিনো শহরে অবস্থিত অ্যাপেল সমস্ত বড় স্টুডিও ও নেটওয়ার্ককে এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ নাগাদ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু রিপোর্টটিতে উল্লেখ আছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মুক্তি পাবে অ্যাপেলের ভিডিও স্ট্রিমিং চ্যানেল। এই মুহুর্তে সঠিক মুক্তির দিন, কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে চ্যানেল, পরিষেবা পেতে কত টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহকদের, তা জানা যায়নি। অন্যদিকে ডিজনি তাদের ভিডিও স্ট্রিমিং প্রকাশ্যে আনার পরিকল্পনা করেছে ১১ এপ্রিল। একইসঙ্গে মনে করা হচ্ছে, অ্যাপলও ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবা ঘোষণা করার শুভ মূহুর্ত হিসাবে বেছে নিয়েছে ওই সময়কেই।
ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবার খাতে অ্যাপেল ইতিমধ্যে খরচ করেছে ১.৪ বিলিয়ন ডলার। মনে করা হচ্ছে, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও, এইচবিও এবং হুলুর জনপ্রিয়তা খানিকটা হলেও ফিকে করে দিতে পারে অ্যাপেলের আসন্ন প্রকল্প। গত মাসে অ্যাপেলের সিইও টিম কুক বলেছিলেন, ২০১৯ সালে নতুন পরিষেবা আনবে অ্যাপেল। তবে পরিষেবা সংক্রান্ত কোনো উচ্চবাচ্য করেন নি।
প্রথম পর্যায়ে ১৭ টির বেশি অ্যাপেলের নিজস্ব শো থাকবে ওই স্ট্রিমিংয়ে। রিজ উইদারস্পুন এবং জেনিফার অ্যানিস্টনের শো দিয়ে দিন শুরু হবে, তারপর গোটা দিনের জন্য ছোটদের শো থেকে শুরু করে থাকবে গোয়েন্দা-কাহিনী।
ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিসের পাশাপাশি, অ্যাপেল ভিডিও গেমের জন্য নেটফ্লিক্স-এর ধাঁচে কাজ শুরু করেছে। এবছর আইফোনের বিক্রি কমেছে, ভবিষ্যতে হাল আরও খারাপ হবে কিনা তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অ্যাপেলের শীর্ষ কর্তাদের। সে কারণে আগেভাগেই এই মার্কিন সংস্থা ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে। অ্যাপেল মিউজিক সাবস্ক্রিপশনস এবং অ্যাপ স্টোরের মত ভিডিও স্ট্রিমিং চ্যানেলও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের থেকে মাত্র ১৯ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে সংস্থার। ২০১৯ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে আয় হয়েছে প্রায় ১০.৯ বিলিয়ন ডলার।
Read the full story in English