ইলেকট্রিক স্কুটার কিনতে যাচ্ছেন? দাঁড়ান! ডিলারকে করুন এই ৫ প্রশ্ন। না হলে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও। নষ্ট হবে আপনার লাখ লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশে ইলেকট্রিক স্কুটারের চাহিদা আকাশছোঁয়া। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা ইলেকট্রিক স্কুটারের দিকে ঝুঁকেছেন। আর বাজারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে একাধিক সংস্থা তাদের লোভনীয় ডিজাইনের ই-স্কুটার নিয়ে বাজারে হাজির হয়েছেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বাজারে অনেক ধরনের দামী এবং সস্তা ইলেকট্রিক স্কুটার রয়েছে। এই বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলির মধ্যে, আপনি বিভিন্ন রেঞ্জের ও ফিচারর স্কুটার পাবেন। তবে ই-স্কুটার কেনার আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত তা না হলে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও। আপনাকে অবশ্যই ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার আগে এই প্রশ্নগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহল থাকতে হবে।
প্রথম প্রশ্নঃ স্কুটারের রেঞ্জ এবং ব্যাটারির ক্ষমতা?
একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারের রেঞ্জ, মাইলেজ এবং ব্যাটারির ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাইওয়েতে যদি ই-স্কুটার চালাতে হয় তাহলে স্কুটারের মাইলেজ বা রেঞ্জ আরও বেশি হওয়া উচিত। ব্যাটারির ক্ষমতা বেশি হলে বারবার চার্জ করার ঝামেলা থাকবে না। স্কুটার ব্যবহার বেশি হলে এমন একটি স্কুটার কিনুন যার রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটারের উপরে। অর্থাৎ একবার চার্জ দিলেই যা যাবে ১০০ কিলোমিটার।
দ্বিতীয় প্রশ্ন: চার্জ করার সময়
ই-স্কুটারের চার্জিং টাইম বেশি হলে স্কুটার চালানো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্কুটারে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা না থাকলে ব্যাটারি চার্জ হতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুটার চার্জ করতে গিয়ে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হতে পারে। আজকাল, এমন অনেক ই-স্কুটার রয়েছে যেগুলির ব্যাটারি মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫০-৬০% পর্যন্ত চার্জ হয়ে যায়।
তৃতীয় প্রশ্ন: ব্যাটারি এবং মোটরের উপর ওয়ারেন্টি
একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারের ব্যাটারি তার সবচেয়ে ব্যয়বহুল অংশ। আপনি যখনই একটি ই-স্কুটার কিনছেন, অবশ্যই ডিলারকে এর ব্যাটারির ওয়ারেন্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। ওয়ারেন্টি সময়কালে ব্যাটারি বা মোটর নষ্ট হয়ে গেলে কোম্পানি তার নিজের খরচে এটি বদলে দেবে কিনা তাও জেনে নিন। এছাড়াও, স্কুটারের ওয়ারেন্টির আওতায় কোন যন্ত্রাংশ রয়েছে সেই বিষয়টি ডিলারের থেকে জানুন। মুখের কথা নয়। প্রয়োজনে ওয়ারেন্টি পেপার দেখুন।
চতুর্থ প্রশ্ন: সর্বোচ্চ স্পিড
যদি আপনার যাত্রা বেশিরভাগ হাইওয়েতে হয় তাহলে ই-স্কুটারের গতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর জন্য কম গতির স্কুটার একেবারেই উপযুক্ত নয়। যে ই-স্কুটারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার হয় সেটি হাইওয়েতে চালানো সহজ।
পঞ্চম প্রশ্ন: ব্যাটারির আইপি রেটিং
আইপি রেটিং ব্যাটারিকে জল এবং ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। সাধারণত অনেক কোম্পানি আজকাল আইপি ৬৭রেটিং সহ ব্যাটারি ব্যবহার করছে। এই রেটিং সহ ব্যাটারিগুলি জল এবং ধুলো থেকে ব্যাটারিকে রক্ষা করে। যদি কোম্পানি ব্যাটারির আইপি রেটিং প্রকাশ করতে অস্বীকার করে তাহলে সেই স্কুটার কেনা এড়িয়ে চলুন।