এতদিন বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাচীরের অধিকারী ছিল এই দেশ। এবার সর্ববৃহৎ সেতু যোগ হবে সেই তালিকায়। আর মাত্র তিনদিনের অপেক্ষা, আগামী ২৪ অক্টোবর বিশ্বের বৃহত্তম সি ব্রিজের উদ্বোধন করবে চিন। পার্ল রিভারের ওপর দিয়ে বিস্তৃত এই সেতু। হংকং এবং ম্যাকাও এর সঙ্গে চিনের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ স্থাপন করবে এই ব্রিজ। এ ছাড়া আরও নয়টি বড় শহরকেও যুক্ত করবে ব্রিজটি। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ছয় লেন বিশিষ্ট এই ব্রিজ তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের তিনটি প্রধান অংশের মধ্যে মাত্র একঘণ্টার মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: আমেরিকাকে জবাব দিতে চিনের ‘অদৃশ্য’ যুদ্ধবিমান
সূত্রের খবর, আইফেল টাওয়ারের থেকেও বহু সংখ্যক বেশি ইস্পাত ব্যবহার করে নির্মান করা হয়েছে এই ব্রিজ। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ফলাফলেই এই মাল্টি বিলিয়ন ডলারের প্রোজেক্টটি সম্ভব হয়েছে। ব্রিজ নির্মানকারী দলের প্রধান Gao Xinglin একটি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, “ইউকে, ইউএস ডেনমার্ক, জাপান, সুইজারল্যান্ড নেদারল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের যুক্ত করা হয়েছে এই প্রোজেক্টে।“ তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪টি দেশের বিশেষজ্ঞরা যুক্ত রয়েছেন এই প্রকল্পের সঙ্গে।
২০০৯ সালে সেতু নির্মাণের সময় বিস্তর বিতর্ক হয়, কথা ওঠে এই ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে হাজারও সমালোচনার মধ্যেও ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন করে ফেলে চিন।
হংকং এবং ম্যাকাও এর সঙ্গে চিনের ভূখণ্ডের সংযোগ স্থাপন করবে এই ব্রিজ। এ ছাড়াও আরও নয়টি বড় শহরকেও যুক্ত করবে।
১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে 'এক দেশ, দুই নীতি''- এই আওতায় হংকং-কে চিনে হস্তান্তর করা হয়। অর্থাৎ এই এলাকার নিজস্ব আইন পরিষদ এবং পৃথক আইনি ব্যবস্থা ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত এ সম্পর্কিত শেষ কথা বলে বেইজিং-ই। কিন্তু হংকং-এর গনতন্ত্র পন্থী আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদে সোচ্চার। তাঁদের দাবি, এর ফলে চিন এই শহরগুলির সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা করছে।
দশ মিনিটের দূরত্বে সাটেল, বাস-সহ প্রতিদিন প্রায় ৪০,০০০ যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে। আপাতত এমনটাই মনে করছে ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই চিনে যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত প্রকল্পের কাজ চলছে তার মধ্যে একটি এই ব্রিজ এবং অন্যটি দ্রুতগতির ট্রেন সংযোগ ব্যবস্থা।
Read full story in English