/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/10/petroleum-l.jpg)
জলে চলবে গাড়ি
আগে রেগে গিয়ে হয়ত দু'একবার প্রেমিকাকে বলেছিলেন; ‘জলে গাড়ি চলে না, অকারণে লং ড্রাইভে যেতে গেলে তেলের জন্য টাকা লাগে’। এবার কিন্তু ভুলেও বলবেন না। পাল্টা জবাব পেয়ে যেতে পারেন আপনি। কারণ সম্প্রতি এক মেধাবি আইআইটি ছাত্র আবিষ্কার করে ফেলেছেন যে, জলেও চলতে পারে গাড়ি।
আইআইটির ওই পড়ুয়া বানিয়ে ফেলেছেন জলে চলা গাড়ির কাঠামো। এখনও খাতায় কলমে ইঞ্জিনিয়ারের তকমা পাননি তিনি। তাতে কী? যে গাড়িটি বানিয়েছেন, তা শুধু যে জল ভরলেই গড়গড়িয়ে এগিয়ে যাবে তা নয়, এটি থেকে বের হবে না কালো ধোঁয়াও; সুতরাং এই জলে চলা গাড়ি কিন্তু পরিবেশবান্ধবও বটে ৷ জ্বালানি বা বৈদ্যুতিক সংযোগ আপাতত ভুলে যান। হয়ত ভাবছেন, এই চক্করে বাদ পড়ে যাবে গাড়ির একাধিক সুবিধা। কিন্তু আগেভাগেই এমনটা ভেবে নেবেন না। আর পাঁচটা গাড়ির মতই ফিচার থাকবে জলে চলা গাড়িতেও।
Innovative! Reserachers at #IITRoorkee have developed an #environmentfriendly electric car prototype that runs on water and aluminium! https://t.co/GF4tCH4neq
— Kiran Mazumdar Shaw (@kiranshaw) October 11, 2018
জল ও অ্যালুমিনিয়ামের পাতের সংযোজনে গাড়িতে সঞ্চয় হবে পাওয়ার। আর সেই শক্তিতেই প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে গাড়িটি।এদিকে তেলের তুলনায় আবার জলের প্রয়োজনও হবে বেশ কম। লিটার পিছু জলে গাড়িটি অতিক্রম করবে ৩০০ কিলোমিটার। তবে গাড়ি যখন ১,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে তখন পাল্টে ফেলতে হবে অ্যালুমিনিয়ামের পাত।
এত কিছু জেনে নিশ্চয়ই ভাবছেন, এবার গাড়ি কিনলে জলে চলা গাড়িই কিনবেন। কিন্তু, যে অ্যালুমিনিয়ামের পাত লাগবে, সেই সেটির দাম প্রায় হাজার পাঁচেক টাকা। একবার লাগিয়ে নিলেই যে কেল্লা ফতে, এমনটাও তো নয়। প্রতি হাজার কিলোমিটারের পর বদলাতেই হবে।
গাড়িটিতে সহজ জ্বালানী সেল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করে। ধাতব প্লেটের পাশে একটি গ্রেফিন রড রয়েছে যা রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াটির ভিত্তি হিসাবে জল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে। ঐ বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে গাড়ির মোটরে।