হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সরাতে নোটিশ পাঠালও কেন্দ্র। ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার এবং গোপনীয়তা রক্ষায় সার্বভৌমত্ব দায়িত্ব সরকারের। এভাবেই হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি এবং ইলেক্ট্রনিক্স মন্ত্রক। ডেটা এবং তথ্যগত নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক এই প্রাইভেসি পলিসি। উল্লেখ করা হয়েছে সেই নোটিশে। আগামি ২৫ মে-র মধ্যে এই নোটিশের প্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নচেৎ দেশীয় আইনে এই মাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছে মন্ত্রক।
ভারতীয় নাগরিকদের ডেটা নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত কথোপকথন অচিরেই ফাঁস করছে নতুন প্রাইভেসি পলিসি। তাই এই নয়া পলিসি সরাতে হোয়াটসঅ্যাপকে আবেদন করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে মন্ত্রকের একটি সুত্র।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট গত ফেব্রুয়ারিতে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-এর নতুন গোপনীয়তা নীতি নিয়ে কেন্দ্র এবং হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিশ দিয়েছিল। মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটির ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের তুলনায় ভারতীয়দের গোপনীয়তা নিম্নমানের অভিযোগ তুলে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালত সরকার ও মেসেজিং অ্যাপের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল।
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপকে তার নতুন গোপনীয়তা নীতি বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখতে চাওয়ার আবেদনের উপর নির্ভর করে শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ, ‘এই অ্যাপে গোপনীয়তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। সেখানে নাগরিকদের গোপনীয়তা অর্থের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষ আদালত বলেছে যে মানুষের গুরুতর আশঙ্কা রয়েছে যে তারা তাদের গোপনীয়তা হারাবে এবং তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।‘
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ ২০১৭ সালের কার্মণ্য সিংহ সারিনের অন্তর্বর্তী আবেদনটি নিয়ে সরকার এবং ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে যে গোপনীয়তার মূল্য সেই সংস্থার অর্থমূল্যের থেকে অনেক বেশি।
যদিও ব্যবহারকারীদের ডেটা ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে হোয়াটসঅ্যাপ সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে একই গোপনীয়তা নীতি ইউরোপীয় দেশগুলি বাদে সমস্ত দেশে প্রযোজ্য যা বিশেষ ডেটা সুরক্ষা আইনেই রয়েছে। গোপনীয়তার বিষয়ে ইউরোপের একটি বিশেষ আইন রয়েছে এবং ভারতেরও যদি এই জাতীয় আইন থাকে তবে তাও অনুসরণ করবে সংস্থা।