২০ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করতে পারে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের বেশ কিছু সংস্থা। বুধবার কেন্দ্রীয় গাইডলাইন নির্দেশিকায় সেই উল্লেখ রয়েছে। নির্দেশিকা মোতাবেক,৫০ শতাংশ ডেটা এবং কল সেন্টার ও সরকারি কাজকর্ম শুরু করা হবে। গাইডলাইনে জানানো হয়েছে যে, পঞ্চায়েত স্তরের পরিষেবা মূলক কাজ সহ ই-কমার্স কোম্পানি গুলি তাদের পরিষেবা চালু করতে পারে। উল্লেখ্য, আইটি হার্ডওয়ারের ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্রয়োজনীয় টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়া সংস্থা কাজ শুরু করতে পারে।
২৪ মার্চ ঘোষিত প্রথমধাপের লকডাউন গাউড লাইনে বলা হয়েছিল, লকডাউন থেকে ছাড় পাবে টেলিকমিউনিকেশন, ইন্টারনেট পরিষবা, বর্ডকাস্টিং এবং কেবল সার্ভিস, আইটি। এছাড়া অফিসের কাজ যদি বাড়ি থেকে বসে করা যায়, তাহলে যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এই নির্দেশিকা ঘোষণার পরে, অসংখ্য অনলাইন ডেলিভারি কর্মীদের কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। এরপরে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যায়।
ফ্লিপকার্ট সুপারমার্ট জানিয়েছে "অপ্রত্যাশিত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ডেলিভারি করতে দেরি হচ্ছে"। এছাড়া অন্যান্য ইকমার্স কোম্পানি যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, সুইগি এবং জোম্যাটো অত্যাবশকীয় পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে। সুইগি ও জোম্যাটো মুদিসদাই বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। নতুন গাইডলাইন এই কোম্পানি গুলির কাজকে আরও সচল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর বেশ কয়েকটি সংস্থা তাদের কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। বাড়িতে থাকার ফলে বহু মানুষ মোবাইল কম্পিউটার মারফত অধিক ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করে। দেখা গিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ফেসবুক ব্যবহার। কাজেই, এই সময় অ্যামাজন, ফেসবুক ও নেটফ্লিক্স তাদের ভিডিওর মান হ্রাস করে দেয়। সম্প্রতি মনে করা হচ্ছে, লকডাউনের নিয়ম শিথিল হলে ইন্টারনেটের উপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা হ্রাস পাবে।
Read the full story in English