চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের ফলে বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, অর্থাৎ ইসরো। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, তীরে এসে তরি ডোবাবে না তো ল্যান্ডার? ইসরো জানিয়েছে, অভিযানের শেষ ধাপের কয়েক মুহূর্তই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন সবার মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন, এই মুহূর্তে কোথায় আছে চন্দ্রযান-২?
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মহাকাশে মিলিয়ে গেছে চন্দ্রযান-২। চাঁদে পৌঁছতে সময় লাগবে ৪৮ দিন। এখন পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ১৭০ কিমি বেগে ঘুরপাক খাচ্ছে ওই মহাকাশযান। এমনভাবে কাটবে ২৫ দিন। পাঁচটি কক্ষপথে ঘুরবে চন্দ্রযান। ২০ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ল্যান্ডার, তখন বেড়ে যাবে গতিবেগ। এই সময় গতি কমানোই একমাত্র কাজ হবে চন্দ্রযানের। চাঁদের মাটি ছোঁয়া মাত্রই সেখানকার ধুলোবালি পাথরের সঙ্গে ঘর্ষণে যাতে নষ্ট না হয়ে যায় ল্যান্ডার, সেই প্রার্থনাই এখন ইসরো-তে সকলের মুখে।
আরও পড়ুন, রেলের কোষাগার ফাঁকা! তাই একাধিক রুটে পরিষেবা দেবে বেসরকারি সংস্থা
দেখুন চন্দ্রযানের লিফট অফ:
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ৭ সেপ্টেম্বর। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞান' একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন, অবশেষে চাঁদে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ২
উল্লেখ্য, এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর রহস্যের সন্ধান করা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই দক্ষিণাংশেই মিলতে পারে জল ও জীবাশ্মের সন্ধান। চাঁদের এই অঞ্চলের মাটি কেমন, সেখানে বরফের পুরু স্তর বা তরল জলের ধারা আদৌ উপস্থিত কি না, তা খুঁজে দেখাই চন্দ্রযান-২ এর মূল উদ্দেশ্য। এই কাজেই ব্যবহৃত হবে তার 'রোভার'।
এর আগে ১৪ জুলাই গভীর রাতে পৃথিবীর মাটি ছেড়ে চাঁদের পথে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল চন্দ্রযানের বাহক জিএসএলভি এমকে ৩ রকেটের। কিন্তু উৎক্ষেপণের ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্থগিত হয়ে যায় অভিযান। তবে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণ অবশ্য তখন জানা যায়নি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পরে জানতে পারে, শেষ মুহূর্তে রকেটের ট্যাঙ্কে হিলিয়াম গ্যাসের চাপ অস্বাভাবিক রকম কমে যাওয়ায় দেখা দেয় যান্ত্রিক গোলযোগ।
Read the full story in English