সেই ২০১১ সালের কথা। সে বছরই উৎক্ষেপিত হওয়ার কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর। ২০০৮ এ চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণের অব্যবহিত পরেই, যা পরের এক বছর পর্যন্ত নিজের কক্ষপথে সক্রিয় ছিল। বস্তুত, চন্দ্রযান-১ এর উৎক্ষেপণ, এবং সাফল্যের, অনেক আগের পরিকল্পনা ছিল চন্দ্রযান-২। কিন্তু সেসময় কথা হয়েছিল, চন্দ্রযান-২ হবে ভারত এবং রাশিয়ার একটি যৌথ প্রকল্প। অর্বিটার এবং রকেটের মডিউল বানাবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো, রাশিয়ার রসকসমস স্পেস এজেন্সি যোগান দেবে ল্যান্ডার এবং রোভারের। তার কারণ শেষের দুটি তৈরি করার ক্ষমতা তখনো হয় নি ইসরো-র।
কিন্তু যে ডিজাইন অনুযায়ী ল্যান্ডার এবং রোভার তৈরি করছিল রসকসমস, তা অন্য একটি মিশনে সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার ফলে ডিজাইনে কিছু তারতম্য আনতে বাধ্য হয় ওই সংস্থা। এর ফলে আবার দেখা দেয় অন্য বিপত্তি। আবিষ্কার করা হয় যে চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না নতুন ডিজাইন। শেষ পর্যন্ত প্রকল্প ত্যাগ করে বেরিয়ে যায় রাশিয়া, এবং ইসরো চেষ্টা শুরু করে দেয় নিজের দমেই ল্যান্ডার এবং রোভার তৈরি করার। যে কাজে সময় লেগে যায় কিছু বছর।
তবে এই দেরি শাপে বর হয়েই দেখা দেয়, কারণ ইসরো সময় পায় মূল মহাকাশযানের ডিজাইন আরো উন্নত করার। বর্তমান চন্দ্রযান-২ তাই আগের চেয়ে অনেক উন্নত, এবং এতে যোগ করা হয়েছে একাধিক অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা পুরনো ডিজাইনে ভাবাই যায় নি।