আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে প্রথমবার চাঁদে পদার্পণ করে মানবজাতি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ গবেষণার দৌড়ে বাস্তবায়িত হয় একটি দুটি নয়, একেবারে ৯০ টি চন্দ্র অভিযান, যার মধ্যে অবশ্য ৪০ টি অসফলভাবে শেষ হয়।
Advertisment
তার পরের তিন দশক ধরে একরকম বন্ধই হয়ে যায় চাঁদে যাওয়া। সম্ভবত সময়ের আগেই চাঁদের মাটিতে পা রেখে পরবর্তী কালে কী করব আর ঠিক করে উঠতে পারিনি আমরা। মহাকাশ যাত্রার যুগের সূচনা যদি ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার মহাকাশে পাঠানো স্পুটনিক দিয়ে হয়ে থাকে, তবে তার মাত্র বারো বছর বাদেই চাঁদে পৌঁছে যায় মানুষ। এই বিশাল পদক্ষেপের সুবিধা নেওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিক ভাবে যা করণীয় ছিল, তা করার মতো প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম তখনও তৈরি হয় নি। অতএব পরবর্তী পদক্ষেপ না নেওয়াই থেকে যায়।
এছাড়াও ১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকের চন্দ্র অভিযানের ফলে সংগৃহীত বিপুল পরিমাণ বৈজ্ঞানিক তথ্য পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করতে সঙ্গত কারণেই লেগে যায় কয়েক দশক। সেসময়ের প্রযুক্তি যতদূর যাওয়ার অনুমতি দেয়, ততদূর যাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এর পর বাড়তে থাকে চাঁদে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ। এবং পাল্লা দিয়ে ফের বাড়তে থাকে চাঁদের প্রতি বিজ্ঞানীদের আগ্রহ। স্রেফ চলতি দশকেই দশটি চন্দ্র অভিযান দেখেছি আমরা। চন্দ্রযান-২ নিয়ে সেই সংখ্যাটা দাঁড়াল এগারো। আগামি বছর আরো কিছু অভিযানের কথা বলা হয়েছে।
এই অন্তর্বর্তী সময়ে প্রযুক্তির যথেষ্ট বিকাশ ঘটেছে, যার ফলে নতুনভাবে চাঁদকে নিয়ে গবেষণার কাজে নামতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। এখন আর চাঁদের মাটি অথবা পাথরের নমুনা সংগ্রহ করতে মানুষকে পাঠানোর দরকার নেই। সে কাজ খুব সহজেই রোবট দিয়ে হয়ে যাবে। মহাকাশচারীদের জীবন বিপন্ন করতে হবে না। ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের লক্ষ্য হবে চাঁদের সম্পদ অনুসন্ধান, যাতে চাঁদকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে মহাকাশের আরো গভীরে যেতে পারি আমরা, বা চাঁদের বুকে বসাতে পারি দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ ল্যাবরেটরি।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন