শানমুগা সুব্রহ্মণ্যম নামে একজন ভারতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্র দেখে নাসা নিশ্চিত করে ওই ধ্বংসাবশেষ বিক্রমের।
চাঁদের মাটিতে খোঁজ মিলল চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা টুইট করে এই খবরের সত্যতা প্রকাশ করেছে। নাসা জানিয়েছে, তাদের উপগ্রহের এলআরও ক্যামেরায় বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি ধরা পড়ছে।
সন্মুগা সুব্রহ্মণ্যম নামে একজন ভারতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্র দেখে নাসা নিশ্চিত করে ওই ধ্বংসাবশেষ বিক্রমের।
নাসা জানিয়েছে, সন্মুগা সুব্রহ্মণ্যম এলআরও প্রকল্পের সঙ্গে যোগাযোগের পরই বিভিন্ন ছবি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করা হয় যে চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকা ওই ধ্বংসাবশেষ চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের। বিক্রম ল্যান্ডার যেখানে ক্র্যাশ ল্যান্ড করেছিল তার উত্তর পশ্চিম দিকে একটা বড় উজ্জ্বল পিকসেল প্রথমে চিহ্নিত করেন সুব্রহ্মণ্যম। নভেম্বরে উপগ্রহ চিত্র দেখে দাবি মার্কিন গবেষণা সংস্থার।
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিংয়ের সময়ে চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটির স্পর্শের করার ২.১ কিলোমিটার আগে থেকে আর খোঁজ মিলছিল না বিক্রমের। আন্দাজ করা হয়, চন্দ্রপৃষ্ঠে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে ল্য়ান্ডার বিক্রম। তবে, ভারতের উদ্যোগকে সেই সময়ই বাহবা দিয়েছিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা। নাসা জানিয়েছিল, ভবিষ্যতে সৌরজগতের রহস্য সন্ধানে ইসরোর সাথ দেবে তারা। চাঁদের দক্ষিণ ভাগে পারি জমানো লক্ষ্য করে ও জলের সন্ধানে যে পরিকল্পনা মাফিক গবেষণার ওপর ভর করে এগিয়ে চলেছে ইসরো, তা নাসাকে অনুপ্রাণিত করেছে।