Chandrayaan-3: গত বছর আজকের দিনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল ইসরো। ভারত আজ তার প্রথম মহাকাশ দিবস অর্থাৎ জাতীয় মহাকাশ দিবস উদযাপন করছে। চন্দ্রযান ৩ মিশন আজ এক বছর পূর্ণ করেছে।
২৩ শে আগস্ট সেই দিন যখন ISRO-র মহাকাশ মিশন একটি মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। যার জন্য বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে স্বপ্ন দেখছিলেন। সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে যখন চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করে, তখন উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল ১৪০ কোটি দেশবাসী। চন্দ্রযান ৩-র কৃতিত্বের সঙ্গে সঙ্গে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানো প্রথম দেশ এবং চন্দ্র অভিযান মিশন সফল করা বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে ওঠে। মহাকাশ অভিযানে ভারতের সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা থেমে থাকেনি। চন্দ্রযান-৩-এর পর ভারতও চন্দ্রযান-৪-এর প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এটি ছিল ভারতের তৃতীয় মুন মিশন। তাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এর নাম দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। এর আগে ২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। এই অভিযান সফল হয়েছিল এবং ভারত চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছতে সফল হয়েছিল। এর পর পরবর্তী ধাপ ছিল চাঁদে অবতরণ। ভারত ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এর মাধ্যমে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা হলে সেই মিশন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। চার বছরের ক্রমাগত কঠোর পরিশ্রমের পর, ভারত ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে তার তৃতীয় মুন মিশন শুরু করে। ২৩ আগস্ট অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল এবং সারা বিশ্বের মহাকাশ সংস্থাগুলি ইসরোর শক্তিকে স্বীকৃতি দেয়। চন্দ্রযান-৩ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছে।
চন্দ্রযান ৩-এ একটি তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ছিল। যা চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ১০ সেন্টিমিটার নিচে যেতে পারে। এর মাধ্যমে জানা গেল, চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার তুলনায় ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বিক্রম ল্যান্ডারও আবিষ্কার করে চাঁদে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়। প্রজ্ঞান রোভার, বিক্রম ল্যান্ডারের সাথে চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করে যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফারের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদের পৃষ্ঠে শুধু সালফার নয়, সিলিকন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়ামও পাওয়া গেছে।
চন্দ্রযান-৪ এর পরিকল্পনা কী?
চন্দ্রযান-৩ দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ISRO এখন চন্দ্রযান-৪-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের মতে, এর জন্য পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। আসলে, চন্দ্রযান-৪-এর আগে ভারত বহু মহাকাশ মিশনে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মিশন হল গগনযান, যা ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার একটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী মিশন। এই মিশনটি ২০২৪ সালেই চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড এবং চন্দ্রযান-৩ এর পরবর্তী প্রস্তুতির কারণে মিশনটি কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত যা খবর, ভারত জাপানের মহাকাশ সংস্থা JAXA-এর সঙ্গে চন্দ্রযান-৪ উৎক্ষেপণ করতে পারে।