Advertisment

নাসার সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা, ১০ বছরে চাঁদে তিনটি রবোটিক মিশনের পরিকল্পনা চিনের

চাঁদে খনিজ আবিষ্কার করা তৃতীয় দেশ হিসাবে উঠে এসেছে চিনের নাম।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
world,china,chnagee-5 mission, china moon mission, china discovered lunar mineral, moon mineral, changesite-Y, helium-3 isotype, china national space administration, NASA Artemis-1 mission, china unmanned moon mission, china space exploration,News,International News,China

নাসার সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা, ১০ বছরে চাঁদে তিনটি মিশনের ঘোষণা চিনের

চিন আগামী ১০ বছরে চাঁদে নতুন  তিনটি মিশন চালু করার পরিকল্পনা করেছে। সূত্রের খবর চাঁদে পাঠানো মিশনে বড় সাফল্য পেয়েছে চিন। চিন এখন মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে।

Advertisment

ইতিমধ্যেই নাসার সমতুল্য,  চিনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, চাং'ই চন্দ্র কর্মসূচির অংশ হিসাবে চাঁদে তিনটি মহাকাশযান পাঠানোর অনুমোদন পেয়েছে, সেদেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান লিউ জিঝং এখবর জানিয়েছে।

২০২০ সালে চন্দ্র অভিযানের মিশনের আওতায় বিজ্ঞানীরা খনিজ পদার্থ খুঁজে পেয়েছেন। এটি একটি দুর্দান্ত আবিষ্কার হিসাবে বিবেচিত হয়। এর আগে এই কাজ আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নও চাঁদে খনিজ আবিষ্কার করে। এইভাবে, চাঁদে খনিজ আবিষ্কার করা তৃতীয় দেশ হিসাবে উঠে এসেছে চিনের নাম।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালে, চিন চাঁদে চ্যাং-ই ৫ মিশন পাঠায়। এই মিশনের অধীনে, প্রায় ১,৭৩১ গ্রাম ওজনের নমুনা পৃথিবীতে আনা হয়েছিল। চাঁদ থেকে পাওয়া এই নমুনায় খনিজ রয়েছে বলে জানায় চিন। এই নমুনাগুলি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পৃথিবীতে আনা হয়েছিল।

publive-image
চাঁদে খনিজ আবিষ্কার করা তৃতীয় দেশ হিসাবে উঠে এসেছে চিনের নাম

চায়না এটমিক এনার্জি অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডং বাওটং এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, খনিজটির নাম দেওয়া হয়েছে চেঞ্জসাইট-ওয়াই। তার মতে, এটি একটি ফসফেট খনিজ। এর আকার প্রায় ১০ মাইক্রন। এটি চাঁদে মানুষের আবিষ্কৃত ষষ্ঠ খনিজ। এখন চিন তার চন্দ্র অভিযান নিয়ে বিশেষ ভাবে আগ্রহী। এ কারণেই আগামী ১০ বছরের মধ্যে চাঁদে রোবটিক মিশনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণাও করেছে তারা। চিনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকেও এই মিশনের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

publive-image
১০ বছরে চাঁদে তিনটি  মিশনের পরিকল্পনা

চিন এখন তার মহাকাশ অভিযানের মাধ্যমে আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। রাশিয়া ও আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে মহাকাশ স্টেশনের পর চিনই বিশ্বের তৃতীয় দেশ যারা মহাকাশে তাদের মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ করেছে। এটি কাজ শুরু করেছে। এখন চিন লাল গ্রহে তার মিশন পাঠাতে চাইছে।

চিনের তার এই চন্দ্র অভিযান নিয়ে আরও বেশি আগ্রহী কারণ আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা যে আর্টেমিস ১ মিশনটি চাঁদে পাঠাতে চলেছে তা ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। এখন এর উৎক্ষেপণের নতুন তারিখও ঘোষণা করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই চন্দ্রঅভিযানকে অনেক বড় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

NASA china
Advertisment