সম্প্রতি চালকবিহীন অত্যাধুনিক বিধ্বংশি যুদ্ধ বিমানের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে চিন, নাম দ্য উইং লুং-টু। কোনও রাডার সনাক্ত করতে পারবে না এই যুদ্ধবিমানকে। অর্থাৎ রাডার সনাক্তকরণ এড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে এর, যার ফলে কার্যত অদৃশ্য হয়ে যাবে এটি, এবং লেজার-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলির লক্ষ্যে সফলভাবে পৌঁছাতে পারবে।
মনে করা হচ্ছে যে, মূলত রপ্তানি বাজারের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে উইং লুং টু-কে। পাশাপাশি নজরদারি এবং বিমান পুনর্মিলন মিশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এটি। প্রসঙ্গত, চিনের কাছ থেকে ৪৮টি ড্রোন কিনবে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। যা ভারতের নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানীর দাম বেড়েছে, তাতে কী! জলে চলবে গাড়ি
সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি ভার বহনের ক্ষমতা রয়েছে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানের। যুদ্ধের সময় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রও খুব সহজে বহন করা যাবে এতে। প্রসঙ্গত, কোনও চালক স্থলপথ থেকেই রিমোটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন এই যুদ্ধবিমান। এ ছাড়াও টানা ২০ ঘণ্টা উড়তে পারবে এই বিমান। এই সময়ের মধ্যে পুনরায় জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হবে না এক্ষেত্রে। নকসা প্রস্তুতকারী দলের প্রধান Li Qidong সংবাদ সংস্থাকে জানান, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিমানবন্দর নির্বাচন করে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করতে পারবে উইং লুং-টু।
উল্লেখিত, দ্য উইং লুং-টু নকসা এবং তৈরির সমস্ত কাজ করেছে চিনের Aviation Industry Corporation । মূলত Loong I UAV-এর নতুন সংস্করণ দ্য উইং লুং-টু।
Xinhua নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টায় ৩৭০ কিমি গতিবেগে ছুটবে এই যুদ্ধবিমান এবং ৯,০০০ কিমি উচ্চতাও ছোঁবে এটি। এতদিন পর্যন্ত মার্কিন বিমানবাহিনীর MQ-9 Reaper-কেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামরিক ড্রোন বলেই গণ্য করা হত। তবে এবার কার্যত মুখের ওপর জবাব দিয়েই দ্য উইং টু বানিয়েছে বেইজিং। পাশাপাশি তাত্ত্বিক বিবেচনায় উইং লুং-টু ড্রোন পাকিস্তানকে ভারতের সামরিক, শিল্প ও জনবহুল এলাকাগুলোতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতাও যোগাবে।
Read the full story in English