Cyber Crime: অনলাইন জালিয়াতির সবচেয়ে বড় ঘটনা! মুহূর্তে গায়েব ১১.৫০ কোটি টাকা। কীভাবে ফাঁদে পড়লেন? জানলে বুক কেঁপে যাবে।
ডিজিট্যাল জমানায় হুহু করে বাড়ছে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা। সম্প্রতি সামনে এসেছে এক ভয়ঙ্কর অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা। ভারতে অনলাইন প্রতারণার সবচেয়ে বড় ঘটনার সাক্ষী থাকল সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন ১৯৩০। এক এমবিএ ডিগ্রিধারী কর্পোরেট পেশাদার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই হারালেন ১১.৫০ কোটি টাকা।
ঘটনার শুরু একটি সাধারণ অনলাইন বিজ্ঞাপন থেকে। ৪৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি, যিনি বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা উপার্জন করেন। তিনি একটি নামি কোম্পানির উচ্চ পদে কর্মরত। তাঁর মোবাইলে আসে একটি বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনটিতে ক্লিক করতেই তিনি পৌঁছে যান একটি ভুয়ো বেটিং প্ল্যাটফর্মে। প্রথমদিকে, ওয়েবসাইটটি তাঁকে মুনাফা দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে। ধাপে ধাপে তাঁর বিনিয়োগ বেড়ে যায় কোটি টাকায়। পুলিশের মতে, তিনি মোট ১৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন, যার মধ্যে ১১.৫০ কোটি টাকা আর ফেরত পাননি। এই প্রতারণা চলে দীর্ঘ তিন মাস ধরে। এই বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় তিনি ১৯৩০ হেল্পলাইনে অভিযোগ দায়ের করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘সাইবার দোস্ত’ এক্স-হ্যান্ডেল থেকেও এই ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এটি ১৯৩০ হেল্পলাইনে নথিভুক্ত হওয়া সবচেয়ে বড় সাইবার জালিয়াতির মামলা। শুরু হয়েছে সাইবার জালিয়াতির তদন্ত। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হল—শিক্ষা, পেশাগত সাফল্য কিংবা আর্থিক নিরাপত্তা অনলাইন জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। যদি আপনি সচেতন না থাকেন তাহলে যে কোন সময়ে ঘটে যাবে ভয়ঙ্কর সাইবার জালিয়াতি।
কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?
- অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না
- কোনও অচেনা অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করবেন না
- সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে ১৯৩০-এ রিপোর্ট করুন
জানা গিয়েছে ভুক্তভোগী একজন কর্পোরেট পেশাদার। যিনি বার্ষিক ১ কোটি টাকা আয় করেন। তিনি একটি নামী কোম্পানিতে উচ্চ পদে কর্মরত। তা সত্ত্বেও, একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন তার জীবন বদলে দেয়।