অনলাইনে কিংবা সোশাল মিডিয়ায় তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা নিয়ে ফের উদ্বেগ বাড়ল এই করোনা আবহে। বেসরকারি সংস্থাগুলি তাঁদের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের কড়া নিয়ম বজায় রাখতে পারল না। লঙ্ঘন করল সেই নীতি। ভারতের বিখ্যাত এবং বৃহত্তম টেস্টিং ল্যাবরটরি ডা: লাল প্যাথ ল্যাবস'-এর পরীক্ষা করানো রোগীদের সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে একটি অরক্ষিত ক্লাউড সার্ভারে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে।
টেকক্রাঞ্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে তথ্য হিসেবে পরীক্ষাগুলির পাশাপাশি রোগীদের বুকিংয়ের বিবরণ, নাম, লিঙ্গ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল, ডিজিটাল স্বাক্ষর, পেমেন্টের বিস্তারিত বিবরণ এবং ডাক্তারের বিশদ সম্পর্কিত অনেক সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে এই ক্লাউড সার্ভারটিতে। প্রযুক্তিবিষয়ক এই সাইটটি দাবি করেছে যে ফাঁস হওয়া ডেটা এমনকি কোভিড -১৯ এর ডেটা এবং রোগীদের অবস্থানও প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও দেখা গিয়েছে যে সংস্থাটি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের (AWS)-এর ডেটা হোস্ট করছে যেখানে রোগীর ডেটা রয়েছে সেখানকার স্প্রেডশিটে। কোনও পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন ছাড়াই সার্ভারে ডেটা ফাঁস করেছে সংস্থাটি যা যে কেউ অ্যাক্সেস করতে পারে। দিল্লিতে দৈনিক প্রায় ৭০ হাজার জনের পরীক্ষা করে এই লাল প্যাথ ল্যাব।
সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ সামি টোভোনেন এই তথ্যের গুরুতর সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রকাশ করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয় এই খবর পেতেই সংস্থার তরফে সব ধরনের সুরখা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং পাবলিক ডোমেনটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ডা: লাল প্যাথ ল্যাবসের এক মুখপাত্র বলেন সংস্থাটি সুরক্ষার এই বিপর্যয় নিয়ে বর্তমানে তদন্ত করছে। তবে সুরক্ষা বিশেষজ্ঞের মতে, সংস্থাটি সামি টোভোনেনের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। এমনকী এই বিষয়ে রোগীদের অবহিত করার কোনও পরিকল্পনা করছে কি না সে ব্যাপারে কিছু জানান হয়নি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন