সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের মালিক হলেন অ্যালন মাস্ক। সংস্থা কিনেই কাজ শুরু মাস্কের। আশঙ্কা সত্যি করে বৃহস্পতিবার টুইটারের শীর্ষ কর্তাদের বরখাস্ত করেছেন মাস্ক। চাকরি গেল টুইটার সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সংস্থার আইনি বিষয় এবং নীতি প্রধান বিজয়া গাড্ডের।
টুইটারকে আরও 'মানবিকভাবে' পরিচালনা করতে চান মাস্ক। তবে মাস্ক কীভাবে নিজের পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়ন করবেন বা কীভাবে সংস্থাটি পরিচালনা করবেন সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেননি। তবে তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট যে শীঘ্রই টুইটারের আরও কর্মীদের চাকরি যেতে চলেছে। স্বাভাবিক কারণেই টুইটারের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কর্মী তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে ঘোর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি আরও টাকা রোজগারের জন্য টুইটার কেনেননি। তাঁর কথায়, "মানবতাকে সাহায্য করব। যাকে আমি ভালোবাসি।"
আরও পড়ুন- এয়ারবাস-টাটা যৌথভাবে ভাদোদরায় বায়ুসেনার বিমান তৈরি করবে
টুইটার ঢেলে সাজাতেই সংস্থার সিইও পরাগ আগরওয়াল, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার নেড সেগাল এবং আইনি বিষয় ও নীতি প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেছেন মাস্ক। এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জাল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নিয়ে এবং টুইটার বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মাস্ক বরখাস্ত করেছেন ওই আধিকারিকদের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাঁদের বরখাস্ত করার সময় আগরওয়াল এবং সেগাল টুইটারের সান ফ্রান্সিসকোর সদর দফতরে ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের পরপই সংস্থার আধিকারিক-সহ বহু কর্মীর চাকরি যাওয়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সিইও পরাগ আগরওয়াল আগেই এই আশঙ্কা করেছিলেন। তবে কর্মীদের তিনি জানিয়েছিলেন এখনই কারও চাকরি যবে না। কারণ, মাস্কের এই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও মাস ছয়েক সময় লেগে যেতে পারে। এদিকে, অ্যালন মাস্ক শুরু থেকেই টুইটারের শীর্ষ কর্তাদের কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই তিনি টুইটার অধিগ্রহণের পর সিইও আগরওয়াল-সহ অন্যদের চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।