টুইটারের কিনেছেন ইলন মাস্ক। দায়িত্ব নিয়েই সিইও পরাগ আগরওয়াল এবং সিএফও নেড সেগালকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে টুইটারের দায়িত্ব নেন তিনি। ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর থেকেই তরজা তুঙ্গে। টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই প্রথমত, সিইও পরাগ আগরওয়াল এবং বিজয়া গাড্ডেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি নতুন নির্দেশ ঘিরে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছেন ইলন মাস্ক। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ইলন মাস্ক কর্মচারীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলন মাস্ক টুইটারের আধিকারিকদের এই মর্মে একটি নির্দেশও দিয়েছেন।
৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে টুইটার কিনেছেন ইলন মাস্ক। এখন নিজের মতো করে টুইটারে অনেক কিছুরই পরিবর্তন আনতে চান তিনি। যার কারণেই তিনি প্রথমেই সিইও পরাগ আগরওয়াল এবং পলিসি অ্যাফেয়ার্স আধিকারিক বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেন। টুইটারকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়েরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে মাস্ক সংস্থা জুড়ে চাকরি ছাঁটাইয়ের আদেশ দিয়েছেন, সংস্থার ম্যানেজারদের ছাঁটাই করা কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: < ‘বাংলাদেশিদের আতিথেয়তা অকল্পনীয়…’, দেশ-দুনিয়ার অজানা কাহিনী নিয়ে অকপট Explorer Shibaji >
মাস্ক টুইটারকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম করতে চান যার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই মুহূর্তে এই বৈশিষ্ট্যটি শুধুমাত্র Facebook, YouTube এবং Instagram এর মত প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। টুইটারের বিষয়বস্তু নীতির কারণে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
টুইটার কেনার আগেই প্ল্যাটফর্মের আয়-ব্যয় নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছিলেন এই ধনকুবের। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, কর্মী ছাঁটাই থেকে নিত্যনতুন উপায়ে আয় বাড়ানোর বিষয়টিও উঠে এসেছে। আর সেটাই এখন বাস্তবে পরিনত হতে চলেছে। পাশাপাশি তিনি মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার-এর নীতিতেও পরিবর্তন আনতে চলেছেন বলেও খবর।