/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/fraud-prevention-pixabay-mohamed-hassan-759.jpg)
লকডাউনের জেরে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। তাই ঋণের বোঝা থেকে সাময়িক স্বস্তি দিতে, সাধারণ মানুষ ও শিল্প-ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিকে ছাড় দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তিন মাস দিতে হবে না ইএমআই। আর স্বস্তিতেও থাবা বসিয়েছে সাইবার লুটেরারা।
ইতিমধ্যে গ্রাহকদের সতর্ক করা শুরু করেছে ব্যাঙ্কগুলি।সাইবার জালিয়াতিরা নতুন ফন্দিতে গ্রাহকদের ঠকাচ্ছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে সর্বদা সতর্ক থাকুন। ইএমআই তিন মাসের জন্য স্থগিত করতে বা অতিরিক্ত ইএমআইয়ের সুবিধা পেতে ওটিপির প্রয়োজন হয় না।
ঠিক কী করছে সাইবার জালিয়াতিরা?
নেট্রিকা সাইবার সিকিউরিটি ডিরেক্টর রাজেশ কুমার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘তিন মাসের জন্য ইএমআই বন্ধ করতে চান, নাকি যা আছে তাই রাখতে চান?’ এমনতর কিছু প্রশ্ন করছে সাইবার জালিয়াতিরা। তারা এও জানাচ্ছে, যেহুতু লকডাউন চলছে, তাই তারা ফোন মারফত কাজ করছে। এরপর অ্যাকাউন্টের তথ্য জেনে ফোনে আসা ওটিপি জানাতে বলছে তাদের। এছাড়াও, মাসিক কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য তিন মাসের বর্ধিত সুবিধা নিতেও ফোন করছে। এক্ষেত্রেও ফোনে আসা ওটিপি চাইছে তারা।
তিনি আরও বলেন, “ কিছু মানুষ তাদের ব্যাঙ্কের গোপন তথ্য শেয়ার করার পর, তাদের ফোনে এমন কিছু লিঙ্ক আসে যা ক্লিক করতে বলা হয়। বয়স্ক এবং অল্প শিক্ষিত মানুষ এই জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। অনেকেই প্রযুক্তিগত জালিয়াতি সম্পর্কে অবগত নয়"।
এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে আচরণের সতর্ক করে কুমার বলেন, সর্বদা গ্রাহকদের নিরাপদে থাকার জন্য সচেতন হওয়া এবং সতর্ক থাকতে হবে। "কোনও ব্যাঙ্কতের তথ্য দেবেন না। কার সঙ্গে কথা বলছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত"।
যদি আপনি OTP/CVV/password/PIN দিয়ে ফেলেন, তাহলে যত তাড়তাড়ি সম্ভব ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বলুন। সাইবার সেল এবং পুলিশকে জানান সমস্ত ঘটনা।