ইউক্রেনে হামলার তীব্র নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত কোনঠাসা রাশিয়া। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সেদেশের সাধারণ মানুষজনও। সমালোচনায় ভয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হয়েছে। সূত্রের খবর সেই প্রতিবাদকে গলা টিপে বন্ধ করতেই ফেসবুক, টুইটার সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ প্রশাসন।
যদিও রাশিয়া দাবি করেছে, ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্যই বন্ধ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। রাশিয়ার অভিযোগ পরমাণু হামলা নিয়ে এতদিন ভুল তথ্য ছড়িয়েছে পশ্চিমের দেশগুলি। ফলে সমগ্র বিশ্বের কাছেই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে তাই অবিলম্বে বন্ধ করা হয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি। ইতিমধ্যেই মস্কোর একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করেছে রুশ প্রশাসন।
সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের পায়েও শিকল পরানো হয়েছে। যদিও ক্রেমলিনের তরফে দাবি করা হয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে ইউক্রেনকে বাঁচাতেই শুরু হয়েছে এই সামরিক অভিযান। যদিও সেই যুক্তি টেকেনি। একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এই হামলার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। যদিও রুশ প্রশাসন দাবি করেছে ২০২০ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে ফেসবুক। রাশিয়া বিরোধী মতকে প্রচারের মাধ্যমে হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুককে। চলতি সপ্তাহে ফেসবুক জানায়, ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে রুশ সরকারের হয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ফেসবুকের এই ঘোষণার পরই তড়িঘড়ি দেশে ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া।