Advertisment

ভুল স্বীকার করলেন জুকারবার্গ

এত ঘটনার আঁচ ফেসবুকের সিইও জুকারবার্গর কাছে পৌছালে খতিয়ে দেখা শুরু করেন তিনি। তারপরই স্বীকার করেছেন যে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই সম্ভাবনার কথা ফেসবুক আগে ভেবে দেখে নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Facebook CEO Zuckerberg testifies before a U.S. Senate joint hearing on Capitol Hill in Washington

ফেসবুকের লক্ষ্য এখন ইউজারদের বিশ্বাস অর্জন করা।

ভারতের সঙ্গে বেশ কিছুদিন যাবৎ ফেসবুকের সম্পর্ক মোটে ভাল নেই। ঠান্ডা লড়াই চলছে বলাই চলে। ভারত থকে তুলে দেওয়া হবে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ, সর্বশেষ এমনই সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বর্তমান সরকার। এদিকে ভারতে নাকি ইউজার সংখ্যা বেশি বলে দাবি করেছে ফেসবুক। তাই তারাও একটু নড়েচড়ে বসেছে পরিকাঠামো বদলের ক্ষেত্রে। কিন্তু ভারতের কিছু দাবি মানলেও সম্পূর্ণটা মানা সম্ভব না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। শেষমেষ পাল্টা জবাবে আর্জি জানিয়েছে ভারতীয়দের শিক্ষিত করুন, তাহলেই নাকি বাকি সমস্যা দূর হয়ে যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ ভারতের সরকারের দিকে শিক্ষা নিয়ে আঙুল তুললেও তাদের শিক্ষিত করার দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে।

Advertisment

এত ঘটনার আঁচ ফেসবুকের সিইও জুকারবার্গর কাছে পৌছালে খতিয়ে দেখা শুরু করেন তিনি। তারপরই স্বীকার করেছেন যে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই সম্ভাবনার কথা ফেসবুক আগে ভেবে দেখেন নি। "আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তা বজায় রাখিনি,ফেসবুকের অপব্যবহার রোধ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি যার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

"এই বিশাল ভুল থেকে আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে গেছি। এটা আমার ভুল ছিল। আমাদের ফেসবুকের মাধ্যমে জনগণদের নিশ্চিত করছি যে এই ধরণের সমস্যা যাতে আর না হয় ভবিষ্যতে তারওপর দৃষ্টিপাত করা হবে।”

"এটা শুধু মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে যথেষ্ট হবে এমনটা নয়; আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই সংযোগগুলি কতটা ইতিবাচক। কারণ ফেসবুকে এই মূহুর্তে রয়েছে ছদ্মবেশের জটা জাল। যা চেনা দায়"। অ্যাপটি সাইন ইন করার জন্য যে ধরণের তথ্য চাওয়া হয় তা যথেষ্ট নয়,  অন্যদিকে ডেভেলপারদের জনগণের তথ্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো খবর রুখতে এবার মাঠে মেনেছেন স্বয়ং জুকারবার্গ।

Whatsapp Mark Zuckerberg
Advertisment