Advertisment

ট্রাম্প সম্পর্কে নীরব জুকারবার্গ, প্রতিবাদে সরব ফেসবুকের কর্তাব্যক্তিরা

ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী টুইটার ট্রাম্পের একটি পোস্ট আড়াল করে দিয়েছে। কিন্তু ওই একই ধরনের পোস্টের ক্ষেত্রে ফেসবুক কোনও পদক্ষেপ নেয় নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন নি ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ। যা ভালো চোখে দেখেন নি ফেসবুকের কর্মকর্তাদের একাংশ। এরপরই টুইটারে গোটা ঘটনাটি নিয়ে মুখর হয়েছেন ফেসবুকের সিনিয়র কর্মচারীরা।

Advertisment

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ট্রাম্প লেখেন, "লুটপাট শুরু হলেই গুলি করাও শুরু হয়"। এই মন্তব্যের পর সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠে যায়। ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী টুইটার এই পোস্টটিকে আড়াল করে দিয়েছে। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, এই শব্দের ব্যবহার উস্কানিমূলক, প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দিতে পারে। যা পরিষেবার বিধি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ফেসবুক কোনও পদক্ষেপ নেয় নি। শুক্রবার জুকারবার্গের একটি পোস্টে একই বিষয়বস্তু সম্পর্কে ফেসবুকের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, "আমরা মনে করি সরকার বলপ্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে কিনা, তা জনগণের জানা উচিত।" কিন্তু এতে ফেসবুকের একাধিক কর্তাব্যক্তি তীব্র দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।

ফেসবুক নিউজফিডের প্রোডাক্ট ডিজাইনের পরিচালক রায়ান ফ্রেইটাস টুইট করে বলেছেন, "মার্ক ভুল করছেন, এবং আমি তাঁর মন পরিবর্তন করার চেষ্টা করব। আপনারা যদি আমার কাছন থেকে কোনও বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া আশা করে থাকেন, তবে আমি ক্ষমা চাইছি। আমার নজর আপাতত পঞ্চাশজনের বেশি সমমনস্ক মানুষের ওপর, যাঁদের একত্রিত করে আমি অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের একটা আদল অন্তত তৈরি করতে চাই।”

ফেসবুকের পোর্টাল প্রোডাক্ট বিভাগের ডিজাইনের প্রধান অ্যান্ড্রু ক্রো লিখেছেন, "হিংসা এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা গ্রহণযোগ্য নয়, তা সে আপনি যেই হন, এবং খবর যাই হোক।"

এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ডিজাইন ম্যানেজার জেসন স্টারম্যান, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট অধিকর্তা জেসন টফ, এবং প্রোডাক্ট ডিজাইনার সারা ঝ্যাং, এবং সকলেই টুইট করে জানিয়েছেন যে "আমরা অভ্যন্তরীণ ভাবে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, এখন পর্যন্ত বৃথা চেষ্টা"।

রবিবার রাতে একটি ফেসবুকের কর্ণধার জুকারবার্গ বলেন, "বর্ণবিচার নিয়ে কাজ করে এমন কিছু সংগঠনের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার" বরাদ্দ করছে ফেসবুক। এছাড়াও তিনি লেখেন যে তাঁর সংস্থাকে "আরও কাজ করতে হবে যাতে মানুষ নিরাপদ থাকেন এবং আমাদের কোনও ব্যবস্থার কারণে পক্ষপাতিত্ব মদত না পায়", তবে ফেসবুকে ট্রাম্পের পোস্ট নিয়ে উদ্বেগ সম্পর্কে কোনও কথা বলেন নি তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Read the full story in English 

Facebook Mark Zuckerberg
Advertisment