দুপুরের নমাজ চলাকালীন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে গত শুক্রবার দুটি মসজিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ৫০ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। মসজিদ আল নূর এবং লিনউড মসজিদে গুলি চালানোর অভিযোগে তিনজন পুরুষ ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। কিন্তু এই ঘটনার আরও একটি চাঞ্চল্যকর দিক হলো, গুলি চালানোর সময় আততায়ীরা গোটা ঘটনার লাইভ স্ট্রিমিংও করে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে বন্দুকধারীরা। সেদিন সেই লাইভ ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। নাশকতার এই ভিডিও নিয়ে একাধিক সংস্থা নানাভাবে দেখাতে শুরু করে। সেই ভিডিওই মুছে ফেলল ফেসবুক।
ফেসবুক টুইট করে জানায়, "প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বিশ্বব্যাপী আক্রমণের ১.৫ মিলিয়ন ভিডিও মুছে ফেলেছি, যার মধ্যে আপলোডের সময়ই ১.২ মিলিয়ন ভিডিওকে ব্লক করা হয়েছে।" এই নাশকতার ভিডিও তামাম নেটিজেনদের হাতে দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। এমনকী পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানতে পারার আগেই জেনে যান পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
আরও পড়ুন: ট্রেন আসতে আর কতক্ষণ? জেনে নিন অনলাইনে
ফেসবুক শুধু যে ভিডিও মুছে ফেলেছে এমনটা নয়, যাঁরা এই হামলাকে সমর্থন করেছেন তাঁদের যাবতীয় পোস্টও মুছে ফেলা হয়েছে। ফেসবুক নিউজিল্যান্ডের এক কর্মকর্তা জানান, "আমরা প্রযুক্তি এবং মানুষের সমন্বয়ে ঘড়ি ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যাঁরা এই হামলায় নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত এডিট করা ভিডিগুলিও মুছে ফেলছি।"
শুধু যে ফেসবুকেই রয়েছে এমনটা নয়। এই ভিডিও ইউটিউবেও আপলোড করা হয়েছে। গুগল জানিয়েছে, তারাও এই নাশকতার ভিডিও অপসারণ করার কাজ শুরু করেছে।
Read the full story in English