ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম সংক্রান্ত কোনো সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না মার্ক জুকারবার্গ । সম্প্রতি একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যে বোর্ডের সদস্যরা ফেসবুকের কন্টেন্টের উপর কড়া নজরদারি করবেন। পাশাপাশি জুকারবার্গ যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারবে তাঁরা। ওয়াকিবহালমহল এই বোর্ডকে ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট মনে করছেন। এই বোর্ডে সদস্য পদে থাকবেন, প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী, আইন বিশেষজ্ঞ, নোবেল পিস প্রাইজ প্রাপ্ত ও মোলিক অধিকার নিয়ে কাজ করা উকিল সহ মোট ২০ জন।
ফেসবুকে বেশ কিছু বিষয়বস্তু দেখা যায়, যা সংশোধন করতে হয় ফেসবুককে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নানা সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে হয়েছে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মকে। ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে দেখা গিয়েছে, ভিয়েতনামের যুদ্ধ থেকে পলাতক এক উলঙ্গ মহিলার ছবি, রোহিঙ্গে ও মুসলিমদের নিয়ে এখাধিক কুরুচীকর মন্তব্য, যা বারবার ফেসবুককে সমালোচনার মুখোমুখি করেছে। বর্তমানে নবগঠিত বোর্ড এই সংবেদনশীল ও ঘৃনাজনক মন্তব্য যা মানুষকে হয়রানির মুখে ঠেলে দেয় সেদিকে কড়া নজর দেবে।
এই বোর্ডের সদস্যরা ২৭টি দেশে ঘুরেছে, ২৯ টি ভাষায় পারদর্শী। ২০ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪ জনকে বাছাই করা বয়ে গিয়েছে। যারা ফোসবুকের সঙ্গে কথোপকথন করে বাকি সদস্যদের নিয়ে বোর্ড তৈরি করবে। এই চার জন হলেন, মার্কিন ফেডারেল সার্কিট বিচারক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাককনেল, সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ জামাল গ্রিন, কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি কাতালিনা বোটেরো-মেরিনো এবং ডেনিশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হেল থর্নিং-শ্মিট।
প্রাথমিক দলটির মধ্যে রয়েছে: মানবাধিকারের প্রাক্তন ইউরোপীয় আদালতের বিচারক আন্দ্রেস সাজা, ইন্টারনেট সানস ফ্রন্টিয়ারের নির্বাহী পরিচালক জুলি ওওনো, ইয়েমেনের কর্মী এবং নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী তাওয়াককোল কারমন, গার্ডিয়ান অ্যালান রাসব্রিজারের প্রাক্তন সম্পাদক এবং পাকিস্তান ডিজিটাল অধিকার আইন বিশেষজ্ঞ নিঘাত বাবা।
ফেসবুকের বিশ্ব বিষয়ক প্রধান নিক ক্লেগ একটি স্কাইপ সাক্ষাত্কারে রয়টার্সকে বলেছেন, বোর্ড তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর বিশ্বাসযোগ্যতা কতটা , তা বোঝা যাবে।
Read the full story in English