গোটা বিশ্বে ৫৩ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত ফাঁসের ঘটনায় কাঠগড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া Facebook। সেই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আশঙ্কার মেঘ জমেছে। এবার অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল মার্কিন তথ্য়প্রযুক্তি সংস্থা। তাদের দাবি, এই তথ্য অনেক পুরনো এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরই জানুয়ারি মাসে গবেষক অ্যালোন গাল টুইট করে দাবি করেছিলেন, টেলিগ্রাম বটের মাধ্যমে ফেসবুক ইউজারদের ফোন নম্বর খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাকপরেই নড়েচড়ে বসে Facebook কর্তৃপক্ষ। এখন জানা যাচ্ছে, ফোন নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে মেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, জন্মতারিখ, লিঙ্গ-সহ গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। গবেষকরা জানতে পেরেছেন, Facebook-এর কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গের তথ্যও ফাঁস হয়েছে, তাও আবার ফোন নম্বর-সহ। সেটাও নিজের টুইটে উল্লেখে করেছেন গাল।
পাল্টা Facebook জানিয়েছে, কোনওভাবেই হ্যাক করে এই তথ্য চুরি হয়নি। সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এই যাবতীয় তথ্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ডোমেইন থেকে। Facebook-এর প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর মাইক ক্লার্কের এণনটাই দাবি। তবে কর্তৃপক্ষ এটাও জানিয়েছে, এই ধরনের তথ্য উড়িয়ে দেওয়া তাদের পরিষেবার নিয়ম বহির্ভূত কাজ। তবে এই বিষয়ে ডেটা টিম কাজ করছে বলে আশ্বস্ত করেছে Facebook।
তবে অনেকেরই আশঙ্কা, এই ৫৩ কোটি ইউজারের মধ্যে তাঁরও তথ্য রয়েছে। সেটা জানতে সহজ পদ্ধতি রয়েছে। https://haveibeenpwned.com/- এই ওয়েবসাইটে গিয়ে জানতে পারবেন আপনার তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না। যদি তথ্য হ্যাক হয়ে থাকে তাহলে এই সাইটের মাধ্যমে তা নিমেষে ধরা যাবে। ভারতে তৈরি আরেকটি অ্যাপ রয়েছে, যার নাম SafeMe। এর মাধ্যমে আপনার মেইল আইডি ও ফোন নম্বর সুরক্ষিত রয়েছে কি না তা জানতে পারবেন।