সংবাদমাধ্যমের পেজের খবর শেয়ার ইস্যুতে পিছু হঠল অস্ট্রেলিয়া। মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা চাপ দেওয়ার পর সুর নরম করল স্কট মরিসন প্রশাসন। সেই দেশে ফের ফেসবুকে নিঃশুল্কে খবর শেয়ার করতে পারবে সংবাদমাধ্যমের পেজগুলি। তার আগে ক্যানবেরা নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে সংশোধন করে। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক।
বিগত এক সপ্তাহ ধরে অস্ট্রেলিয়া সরকার এবং সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের মধ্যে সংঘাত চলছিল। অস্ট্রেলিয়া সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী, ফেসবুক এবং গুগলের নিউজ কনটেন্টে আধিপত্য রুখতেই এই আইন আনে সরকার। কিন্তু এরপরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সবধরনের নিউজ কনটেন্ট এবং সরকারি আপৎকালীন বিভাগের পেজ-অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়। সরকারের তরফে কোষাধ্যক্ষ জোশ ফ্রাইডেনবার্গের সঙ্গে ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গের একাধিকবার আলোচনা হয় এই প্রসঙ্গে। তারপরই সমঝোতায় আসে দুপক্ষ।
জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া চারটি সংশোধনী প্রস্তাব রেখেছে। তার মধ্যে নিউজ পাবলিশার্সের সঙ্গে বৈধ লেনদেনের জায়গায় ঐক্যমত্যে না আসতে পারলে সরকারি সালিশি প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকারের সিদ্ধান্তে তারা সন্তুষ্ট। নিউজ পাবলিশার্সদের থেকে ন্যূনতম অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে।
এর আগে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও সঙ্গে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ফেসবুক ও গুগলের সঙ্গে বিরোধিতার ইস্যুতে ইতিমধ্যেই মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মরিসনের। একই কারণে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেও কথা বলেছেন।