ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে ফেসবুক ডিলিট করেছে প্রায় ১.৫ বিলিয়ান জাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। জুকারবার্গ নতুন একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, "বিভিন্ন দেশের সরকারের কড়া নির্দেশেই মুছে ফেলতে হয়েছে ফেক অ্যাকাউন্ট।"
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার তদন্তমূলক রিপোর্টের পর জুকারবার্গ পোস্টটি করেন। রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল ফেসবুক কীভাবে তথ্য ফাঁস কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হয় এবং তা মুছে ফেলার চেষ্টা করে। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল, প্রকাশ্যে মার্কিন সরকার স্বীকার করার আগেই ফেসবুক জানত মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। এও দাবি করা হয় যে ফেসবুক চেষ্টা করেছিল জাল নিউজ এর ক্ষেত্রে গুগল-ও যাতে একই ভাবে অভিযুক্ত হয়। তবে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যে ধরণের অভিযোগ করা হয়েছিল, তা সম্পুর্ণ অস্বীকার করেছে সংস্থা।
ফেসবুক সিইও-র পোস্টটি খুবই মন দিয়ে পড়ার মতো, বিশেষত জাল অ্যাকাউন্ট সরানোর বিষয়টি। ছয় মাসের মধ্যেই ১.৫ বিলিয়ন। যেখানে ফেসবুক জানিয়েছে, তাদের প্রত্যেক মাসে সক্রিয় ইউজার সংখ্যা ২.৫ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়ে কৌতূহল? লাগাম টানতে উদ্যোগী মার্ক জুকারবার্গ
তাঁর ফেসবুক পোস্টে জুকারবার্গ লিখেছেন, যে তাঁর সংস্থা "জাল অ্যাকাউন্টগুলি সক্রিয়ভাবে সনাক্ত করছে, যা স্প্যাম এবং ভুল তথ্য প্রচার করার উৎসস্থল হিসাবে বিবেচিত হয়। এই ভুল বা স্প্যাম খবরগুলি আমাদের সমস্ত পরিষেবা জুড়ে কাজ করে, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম সর্বত্র।"
"গত ছয় মাসে আমরা ১.৫ বিলিয়ন জাল অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছি," জুকেরবার্গ। তবে তার মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টগ্রাম অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা তা নিয়ে পরিস্কার করে কিছু জানানো হয় নি ফেসবুকের তরফ থেকে।
ফেসবুকের সিইও এছাড়াও তার পোস্টে লিখেছেন যে কোম্পানিট ক্লিক-বিট কন্টেন্টের নাগাল হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে অর্থাত্ৎ ভাইরালে লাগাম টালতে চলেছে। ভুল তথ্য বিস্তার বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল তৈরি করা জাল অ্যাকাউন্টগুলি মুছে ফেলা। যার জন্য আরও বেশি ভাইরাল হত এতদিন।
জাকারবার্গ বলেন, "নীতিগুলি কীভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে তা দেখানো নয় বরং আরো স্বচ্ছতা প্রদান করা"।
Read the full story in English