সদ্য শেষ হয়েছে বাছাই পর্ব। চন্দ্রযান-৩ তে করে চাঁদের মাটিতে পারি জমাবে চার ভারতীয়। এই চারজন ভারতের বায়ুসেনার পাইলট। যাদের কে গগনযান মিশনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ভারত থেকে সর্বপ্রথম মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবে মানুষ। ২০২২ সালে গগনযানকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো।
Advertisment
এর আগে ‘চন্দ্রযান ২’-এর ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে এবার চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩-এর কাজ চলছে জোরকদমে। সম্ভবত ২০২১ সালেই চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে এই চন্দ্রযান। নতুন বছরের শুরুতে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরো প্রধান কে শিবন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালেই চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করবে ভারত, মঙ্গলবার এমন মন্তব্যই করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং।
এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ইসরো প্রধান জানান, ‘‘চন্দ্রযান ৩ অনুমোদন করেছে সরকার। এই প্রোজেক্টের কাজ চলছে। এজন্য ১৪-১৬ মাস সময় লাগতে পারে। ফলে ২০২১ সালে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করা হতে পারে’’। কে শিবন আরও বলেন, ‘‘যদিও চাঁদের মাটিতে সফল ল্যান্ডিং হয়নি, তবুও চন্দ্রযান ২ প্রোজেক্টে আমরা দারুণ উন্নতি করেছি। এখনও অরবিটর কাজ করছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রদানে আগামী ৭ বছর ধরে এটা কাজ করবে’’।
নতুন বছরের শুরুতে ইসরোর তরফে জানান হয়েছে গগনযান এবং চন্দ্রযান-৩ নিয়ে যুদ্ধ কালীন কাজ করা শুরু করেছে ইসরো। গগনযান মিশন খুব ভাল অগ্রগতি করেছে। গগনযান করে পারি দেওয়ার জন্য ক্রিউ প্রশিক্ষণ এবং প্রপালশন মডিউলটির জন্য সম্প্রতি মানব রেটিং সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা দরকার। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে বেশ কিছু এই বছরই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কে শিবন।
শিভান আরও ঘোষণা করেছেন, যে শ্রীহারিকোটায় একটি ছাড়াও ইসরো খুব শীঘ্রই একটি দ্বিতীয় লঞ্চিং স্টেশন করতে চলেছে। এই নতুন সুবিধার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ স্থল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর টুথুকুডি জেলার এক এলাকা।