Advertisment

সবুজ সংকেত পেল বাইশের গগনযান, মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিন ভারতীয়

২০২২ সালে মহাকাশ অভিজান করবেন তিন বিজ্ঞানী। শ্রীহরিকোটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে জোর কদমে চলছে লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রস্তুতি। হাতে সময় ৪০ মাস। গগনযান প্রকল্পের জন্য ধার্য করা হয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নকে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে ভারতীয়দের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ২০২২ সালে তিনজন সদস্য নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে উড়ে যাবে ভারতের বৃহত্তম ভারী রকেট GSLV Mk III। তিন মহাকাশচারী কমপক্ষে সাতদিন কাটাবেন মহাশূন্যে। প্রকল্পের জন্য খরচ হবে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা। এই মিশন সফল হলে, পরবর্তী ধাপে ভারত থেকে মহাকাশে আরও মানুষ পাঠানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মিশন সম্পূর্ণ হলে মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছে এমন দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে নাম লেখাবে ভারত।

Advertisment

বর্তমানে শ্রীহরিকোটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে জোর কদমে চলছে লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রস্তুতি। হাতে সময় ৪০ মাস। গগনযান প্রকল্পের জন্য ধার্য করা হয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তির উন্নয়ন, ফ্লাইট হার্ডওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উপাদানের খরচ। এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুটি ফ্লাইট ও একটি মনুষ্যবাহী ফ্লাইটকেও রাখা হবে প্রকল্পের আওতায়।

আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টো পিঠের রহস্য উদঘাটনে পাড়ি জমাচ্ছে চিন

গগনযান কর্মসূচিকে সফল করার জন্য জোরদার করতে হবে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ, ফ্লাইট সিস্টেম, সঙ্গে যেখান থেকে উড়ে যাবে GSLV Mk III, সেই স্থানের পরিকাঠামোর বদল ঘটাতে হবে। গগনযান কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে জাতীয় স্তরের গবেষণাগার, একাডেমী ও শিল্পের সঙ্গে জোট বেঁধেছে ইসরো।

মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের ফলে বিভিন্ন কর্মসূচীতে উন্নয়ন হবে যা ভবিষ্যতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়ানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে প্রথম এই কর্মকান্ডের কথা ভাবা হয়। ইসরোর পরিকল্পনা কমিটির কাছে শুরুতে এ ব্য়াপারে কোনও নির্দিষ্ট সময়রেখা ছিল না। প্রাথমিক আলোচনায় ২০১৫ নাগাদ টার্গেট ঠিক হয়েছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রকল্পে ইসরোকে সহায়তা করছে সরকার।

ইসরো জানিয়েছে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান নির্মাণে ইতিমধ্যে খরচ হয়েছে ১৭৩ কোটি টাকা। কিন্তু এই বিশাল অর্থ খরচে অর্থনীতিতে চাপ পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। ২০১৮ সালেই জুলাই মাসে প্রায় ১৩ টনের ক্রু মডিউল প্যাড অ্যাবোর্ট পরীক্ষা করা হয়। যাতে উৎক্ষেপণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বাঁচানো সম্ভব হয় তিন মহাকাশচারীকে।

Read the full story in English

ISRO
Advertisment