Google Tez renamed as Google Pay: ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এখন থেকে ডিজিট্যাল পত্রিকা এবং ম্যাগাজিন খুব দ্রুত এবং যৎসামান্য পুঁজিতেই প্রকাশ করা যাবে। সৌজন্যে গুগলের নতুন উদ্যোগ, দ্য নবলেখা প্রজেক্ট। গুগল ফর ইন্ডিয়া শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত গুগলের দ্বিতীয় বৃহত্তম মার্কেট, এবং এই অনুষ্ঠানে ভারতের জন্য আরও কিছু পরিষেবার কথাও বলা হয়। এগুলির মধ্যে অন্যতম হলো গুগুলের তেজ পেমেন্ট অ্যাপের নতুন নামকরণ। এবার থেকে তেজ হবে গুগল পে, এবং অনলাইন ও অফলাইন কেনাকাটার আরও অনেক সুবিধে পাওয়া যাবে। এছাড়াও ভীম ইউপিঅাই অ্যাপের মাধ্যমে গুগল পে ব্যবহার করে দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে।
গুগলের সার্চ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শশিধর ঠাকুর বলেন, বর্তমানে ৫০ শতাংশ বেশি ভারতীয় প্রতিদিন মোবাইল সার্চ ব্যবহার করছেন, কিন্তু ভারতীয় ভাষায় কন্টেন্ট ইংরেজি ভাষার মাত্র এক শতাংশ। তাঁর কথায়, গুগল চেষ্টা চালাচ্ছে এই ব্যবধান কমানোর, যাতে আঞ্চলিক ভাষায়ও জ্ঞানের বিস্তার ঘটে।
অন্যদিকে গুগলের নেক্সট বিলিয়ন ইউজার্স প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিজার সেনগুপ্ত জানান, তেজ পেমেন্ট অ্যাপের দৌলতে এ পর্যন্ত ৩০ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন করা হয়েছে, এবং তেজের ২২ মিলিয়ন গ্রাহকের মোট লেনদেনের সংখ্যা এখন ৭৫০ মিলিয়ন। এই অ্যাপের নয়া নামকরণের ফলে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফিচারের সুবিধে পাবেন ভারতীয় গ্রাহকরাও। তাঁর কথায়, ১.২ মিলিয়ন ছোট ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই তেজ ব্যবহার করছেন, কারণ এর মাধ্যমে তাঁরা গুগল ম্যাপে নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার সুবিধেও পাচ্ছেন। "ভীম ইউপিআই-এর ছিল ১৭ মিলিয়ন গ্রাহক, কিন্তু তেজের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর সেই গ্রাহক সংখ্যা চৌদ্দ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।" তিনি আরও জানান, আসন্ন উৎসবের মরশুমের আগেই গুগলের লক্ষ্য হচ্ছে ১৫,০০০ অফলাইন ব্যবসায়ীকে এই দলে সামিল করার।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে শিক্ষিত করুন, কেন্দ্রকে বলল হোয়াটসঅ্যাপ
এর আগে গুগলের ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজন আনন্দন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কেরালার বন্যাত্রানে এক মিলিয়ন ডলার সাহায্যের ঘোষণা দিয়ে। গুগল টেনসরফ্লো-র শীর্ষ অধিকর্তা অনিতা বিজয়কুমার বলেন তাঁরা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে বন্যা মোকাবিলায় একটি আগাম সতর্কতা জারি ব্যবস্থা তৈরির কাজ করছেন।
আনন্দন জানান, ভারতে এখন ৩৯০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা চতুর্গুন বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, "আগামী তিন বছরে প্রায় ৪৫ শতাংশ অনলাইন ব্যবহারকারী হবেন মহিলা।"