গত সোমবার গুগলের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হল গুগল প্লাস, যার প্রধান পরিচয় পুরোনো সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে। ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তার ঠেলায় এমনিতেই নগণ্য হয়ে উঠেছিল গুগল প্লাস। দিনে দিনে গ্রাহকদের ফিচারগত চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তার কোনোটাই সামলানো সম্ভব হয়ে উঠছিল না গুগলের পক্ষে। সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রোজেক্ট স্ট্রোব।
তার চেয়েও বড় কথা, সোমবার গুগল প্লাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাইরের কয়েকশো ডেভেলপারের কাছে পাঁচ লাখেরও বেশি গুগল প্লাস ব্যবহারকারীর তথ্য পাচার হয়ে গেছে। তাই গুগল প্লাসের কনজুমার ভার্সন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর গত কয়েক ঘন্টা ধরে সংবাদ শিরোনাম আঁকড়ে ধরেছে Google+।
ভারতীয়রা কোনওভাবেই স্বেচ্ছায় এই পরিষেবা ব্যবহার করেন না। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দৈনিক অনলাইন ব্যবহারকারীরা কোনোদিনই গুগল প্লাসের মাধ্যমে কিছুই শেয়ার করে থাকেন না।
সম্প্রতি জনপ্রিয় মেইল পরিষেবার তালিকায় রয়েছে জিমেইল। গুগল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে জিমেইল ছাড়া বাকি গুগল অ্যাপ্লিকেশনগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করে সেগুলিকে একটা গণ্ডির মধ্যে নিয়ে আসা হবে। এখন থেকে ইমেল কার্যকারিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
গুগল এই সিদ্ধান্তেও এসেছে যে অপ্রয়োজনীয়ভাবে এসএমএস এবং কল লগ ব্যবহারে লাগাম টানবে সংস্থা। এতদিন Google+ অ্যাপের মাধ্যমে আপনার যোগাযোগ তালিকা ব্যবহার করতে পারত গুগল। গুগল প্লাস ব্যবহারের যে শর্তাবলী ছিল, তাতে সব ধরণের পরিচিতি এবং এসএমএস অনায়াসে ফোন থেকেই ব্যবহার করতে পারা যেত। গুগল জানিয়েছে, সম্ভাব্য ৫০০,০০০ অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক ব্যবহারকারীদের Google প্লাস অ্যাকাউন্টগুলিতে সেভাবে কোনো ব্যক্তিগত ডেটা না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read the full story in English.