ভারতের ৪০০টি রেল স্টেশনে নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা ঠিক কোন কাজে লাগে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ নানা রকমের মনোরঞ্জন ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্যই ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। সেই মনোরঞ্জনের তালিকার সবার উপরে রয়েছে পর্নোগ্রাফি। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে গোটা ভারতের মধ্যে রেলের বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা ব্যবহার করে পর্ন সাইটে উঁকিঝঁকি দেওয়ার অভ্যেস সবচাইতে বেশি দেখা যায় পাটনা স্টেশনে।
মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে প্রথম ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয় গুগলের সিইও সুরন্দর পিচাইয়ের। প্রথম মুম্বই, তারপর ভারতের ৪০০ টি স্টেশনে নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওয়াইফাইয়ের বন্দোবস্ত করা হয়। প্রায় ৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এই ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন, WhatsApp Payments: লেনদেনের গোপনীয়তা রক্ষার ওপর কড়া নজর
গুগলের এই প্রকল্প এসে পৌছেছে অসমের ডিব্রুগড় স্টেশনে। সেখানে ইনস্টল করা হচ্ছে ফাইনাল গুগল স্টেশন। ওয়াইফাই অন করলে ‘RailTel’ এর একটি নোটিফিকেশন আসবে। সেখানে ক্লিক করে নিজের ফোন নম্বরটি নথিভুক্ত করলেই OTP অথেন্টিকেশনের পর নিখরচায় ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হবে। প্রথম ৩০ মিনিট বেশ ভালো স্পিডও পাওয়া যাবে।
হ্যাকারদের তথ্য হাতানোর আশঙ্কাও এ ব্যবস্থায় নেই বললেই চলে। গুগল স্টেশন নেটওয়ার্ক এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের কারণে হ্যাকারদের পক্ষে তথ্য হাতানো মুশকিলও বটে।
এর আগে ফেসবুকও বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কথা ভাবলেও তাদের সে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন :স্টুলিশ কি ফুলিশ বানাচ্ছে নেটিজেনদের? নতুন এই অ্যাপ ফিভারে কতটা কাবু ফেসবুক!
রিলায়েন্স জিও-র কল্যাণে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক লাফে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত। তবে তা যে বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়ার কারণেই, সে কথা বলাই বাহুল্য।