যত দিন যাচ্ছে টাক পড়ছে মাথায়, যা নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। ডাক্তারবদ্যি থেকে শুরু করে ইউটিউবারদের কথায় বিশ্বাস করে কী না চেষ্টা চালিয়েছেন। তাতেও মন মত চুল গজাচ্ছে না। কখনও দায়ি করছেন বর্ষাকে, কখনও দায়ি করছেন আয়রন জলকে। এই করেই দিন কেটে যাচ্ছে। ঘন কালো কেশের আর দেখা নেই। দিন দিন ময়দানের আকার নিচ্ছে সিঁথি। এবার এই টাক সমস্যার সমাধান হবে প্রযুক্তিগতভাবে। এমনই সমাধান আনতে চলেছে একদল গবেষক।
যাতে নেই কোনো ঝক্কি। টুপির মত পড়ে নিলেই মিটবে টাক সমস্যা। গজিয়ে উঠবে নতুন চুল। এই নতুন গ্যাজেট প্রথম গিনিপিগের ওপর প্রথম ব্যবহার করা হয়। সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। টুপি পরলেই আগামীদিনে টাকের সমস্যা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বিক্রমের ব্যর্থতা ভুলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজে মন দিয়েছে ইসরো
এই টুপির মধ্যে রয়েছে সল্প ফ্রিকোয়েন্সির বৈদ্যুতিক তরঙ্গ। যা নিরাপদ ও কম খরচের চুল বৃদ্ধির উদ্দীপক প্রযুক্তি। টুপিটিতে কোনো ব্যাটারি নেই কারণ সারাদিনে নড়াচড়া চুলের সঙ্গে ঘর্ষণেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। কম ফ্রিকোয়েন্সির বৈদ্যুতিক তরঙ্গ চুলের উৎপাদনকে সক্রিয় করবে। উল্লেখ্য, ঠিক যে কারণে চিরুনি ব্যবহার করে ভালো করে চুল আঁচড়ানোর কথা বলে থাকেন ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন: ভেজা কাপড় থেকে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুডং ওয়াং বলেন , মাথায় চুল গজানোর যে পদ্ধতি রয়েছে তাক জাগিয়ে তুলবে এই টুপি।
যাদের সদ্য চুল পরতে শুরু করেছে। তাদের জন্য খুব ভালো কাজ দেবে। টুপির নিচেই এই যন্ত্রটি বসানো রয়েছে। তবে কবে বাজারে আসবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। চুলের গ্রোথ টেকনোলজি থাকবে টুপির মধ্যে। যেখানে রোজকার নড়াচড়া থেকে ন্যানোজেনারেটর জড়ো করবে এনার্জি। তারপর কম ফ্রিকোয়েন্সির বিদ্যুৎ চালিত করবে খুলির ত্বকের ওপর। যা সতেজ করবে চুল উৎপাদককে।