অবশেষে কেন্দ্রের চাপে পড়ে সরকার বিরোধী, 'খলিস্তানপন্থী' কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার কর্তৃপক্ষ। বুধবার তারা জানিয়েছে, ভারতে কিছু অ্যাকাউন্টকে তারা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের চিহ্নিত করে দেওয়া সেই হ্যান্ডেলগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ভারতের গ্রাহকদেরই অ্যাকাউন্টে প্রভাব পড়েছে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব বিদেশিদের হ্যান্ডেলকে বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
ব্লগ পোস্টে টুইটার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মী, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিবিদদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে না তারা। বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে ভারতীয় আইনের মধ্যে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে তারা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, #FarmerGenocide হ্যাশট্যাগ দিয়ে ২৫৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট সরকার বিরোধী টুইট করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২৬টি অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট বা নিষ্ক্রিয় করেছে টুইটার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক যে ১২০০টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, তার মধ্যে ৫৮৩টি বন্ধ করা হয়েছে বলে টুইটার সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকার বিরোধী, 'খলিস্তানপন্থী' এমন ১২০০ টুইটার হ্যান্ডেলকে বন্ধ করার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সেই নোটিসের ২৪ ঘণ্টা বাদেই মঙ্গলবার পাল্টা কেন্দ্রকে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কাছে কর্মীদের নিরাপত্তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, “সরকারের সঙ্গে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয়ে প্রাথমিক আলাচনা হয়েছে। তবে কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিই নিয়েই বেশি চিন্তিত আমরা।”
এর আগে কৃষকদের আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ১২০০ টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে নোটিস পাঠায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ১২০০ অ্যাকাউন্টের নতুন তালিকা টুইটারকে পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের আবেদন, “ভারতে হয় এই অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক করা হোক বা সাসপেন্ড করা হোক। গোয়েন্দা বিভাগ খতিয়ে দেখেছে এই অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে খলিস্তান-পন্থীদের যোগ আছে কিংবা পাকিস্তানের মদত আছে।” ওই তালিকা পাঠিয়ে আরও আবেদন করা হয়েছে, “তালিকাভুক্ত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। কৃষক আন্দোলনের পক্ষে প্ররোচনামূলক তথ্য পেশ করা হচ্ছে।”