Health insurance policy tips bengali: আজকের অনিশ্চিত এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যবস্থার যুগে একটি ভাল স্বাস্থ্য বীমা পলিসি জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। করোনা পরবর্তী সময় থেকে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা আগের তুলনার অনেকটাই বেড়েছে, এবং বাজারে অসংখ্য কোম্পানির বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিমা উপলব্ধ। তাই সঠিক বীমা নির্বাচন করা অনেকের কাছেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। স্বাস্থ্য বীমা কেনার আগে জেনে নিন ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এগুলো না জানলে পরবর্তী সময়ে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
১️ প্রিমিয়াম এবং কভারেজ বিশ্লেষণ করুন
একটি স্বাস্থ্য বীমা পলিসির প্রিমিয়াম যতই কম হোক না কেন, তার সাথে আপনি কতটা কভারেজ পাচ্ছেন সেটাই আসল। আপনার বয়স, ফ্যামিলি হিস্ট্রি এবং বর্তমান স্বাস্থ্য সমস্যা বিশ্লেষণ করে পরিকল্পনা বাছুন।
২️ ব্যক্তিগত না পারিবারিক – কোন পরিকল্পনা আপনার উপযোগী?
অবিবাহিত হলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বীমা পলিসি ক্রয় করতে পারেন।
কিন্তু আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে ফ্যামিলি ফ্লোটার পলিসি বেছে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। যাতে স্ত্রী, সন্তান, এমনকি বাবা-মা-কেও সেই পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়
৩️ পলিসির তুলনা করুন (Health Insurance Comparison)
বিভিন্ন কোম্পানির পলিসিগুলির প্রিমিয়াম, কভারেজ, ক্লেইম প্রসেস এবং নো-ক্লেইম বোনাস তুলনা করুন। আজকাল অনলাইন টুল দিয়ে সহজেই তুলনা করা যায়।
৪️ দাবি নিষ্পত্তির অনুপাত দেখুন (Claim Settlement Ratio)
৯৫%-এর বেশি Claim Settlement Ratio-রয়েছে এমন কোম্পানির স্বাস্থ্য বিমা বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, ক্লেইম গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা এখানেই সবচেয়ে বেশি।
৫️ কী কী চিকিৎসা পরিষেবা কভার হচ্ছে?
একটি ভালো স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় থাকা উচিত:
ইন-পেশেন্ট ট্রিটমেন্ট
ওষুধের খরচ
ডায়াগনস্টিক টেস্ট
হোম কেয়ার/ডে কেয়ার
টেলি-কনসালটেশন
এম্বুলেন্স চার্জ
৬️ কোন অসুস্থতা বাদ আছে (Exclusions List)?
সব পলিসিতে কিছু অসুস্থতা বাদ (excluded) থাকে। ক্রনিক ডিজিজ বা আগে থাকা কোন রোগ থাকলে বিশেষভাবে যাচাই করুন। প্রি-এক্সিস্টিং ডিজিজ ওয়েটিং পিরিয়ড নিয়েও সচেতন থাকুন।
৭️ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ও পরে কভারেজ আছে কি না?
আদর্শভাবে, একটি স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনায় অন্তত:
ভর্তি হওয়ার আগে ৬০–৯০ দিন
ছুটির পরে ১২০–১৮০ দিন পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ কভারেজ থাকা উচিত।