'উঠল বাই তো কটক যাই'। বহুদিনের পরিকল্পনার পর হঠাৎ একদিন গিয়ে হাজির হলাম দোকানে, এরকম ভাবেই আমরা সকলেই সাধারণত ফোন কিনে অভ্যস্ত। আর যদি পুরোনো ফোন হারিয়ে যায়, তাহলে তো কোনো প্রশ্নই নেই, যত জলদি সম্ভব ফোন কেনার জন্য পৌঁছে যাই দোকানে ।
যেহেতু আমরা অনেকেই আমাদের আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করি এক্ষেত্রে, সেহুতু একটি স্মার্টফোন কেনা ভারতবর্ষে এখনও একটি বড় সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হয়। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জেনে নিন আপনার বাজেটের মধ্যে কোন কোন ডিভাইস সহ ফোন কিনলে আপনি উপকৃত হবেন। দোকানে যাওয়া মানেই দোকানদারদের কোনো নির্দিষ্ট ফোন কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করার প্রবণতা থাকে। ভুলেও সেই ফাঁদে পা রাখবেন না।
বাড়িতে প্রথমে ইন্টারনেটে দেখে নিন কোন কোন ফিচার আপনার পছন্দ, সেগুলি কোন ফোনে রয়েছে, এবং তার দাম কত। বেশ কটি ফোনের স্পেসিফিকেশন দেখলে দাম সম্পর্কে সহজেই আন্দাজ করে ফেলতে পারবেন। কেতাদুরস্ত প্রচার ও বিজ্ঞাপনের ওপর বিশ্বাস না করাই বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন:কতটা নতুনত্ব রয়েছে মোটোরোলার আসন্ন ফোনে?
প্রথমেই দেখুন, কোন কোন ফিচার আপনার প্রয়োজন। বিভিন্ন মানুষের পছন্দ ভিন্ন। কারোর ক্যামেরা ভালো হলেই চলে, কারোর চাই প্রসেসর, কারোর আবার লম্বা ব্যাটারি, কেউ আবার ঝকঝকে ভিডিও দেখতে চায়, সুতরাং আপনি ঠিক কী চান, সেই পছন্দের তালিকা বানিয়ে ফেলুন। অবশ্যই যুক্তি সহকারে ভাবনাচিন্তা করবেন। যে ফিচার আপনি কখনই ব্যবহার করবেন না সেই ফিচারের জন্য খরচ না করাই ভালো।
১) রেজলিউশনের থেকে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতার প্রয়োজন বেশি। স্মার্টফোনে একটি কোয়াড-এইচডি (2K) রেজোলিউশন ডিসপ্লে বা ফুল এইচডি থাকতে পারে। যা হয়ত আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন 2K এবং FHD এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে উজ্জ্বলতা এবং রঙের মানের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
২) ফোনের ডিসপ্লেকে কিন্তু তালিকায় রাখবেন। আপনি যদি বেশ অনেকক্ষণ ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই ভাল স্ক্রিন ও তার সাইজের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। সম্প্রতি ৫.৮ এবং ৬.৪ ইঞ্চির ডিসপ্লের চাহিদা রয়েছে। চলচ্চিত্র দেখার জন্য প্রয়োজন ১৯২০x১০৮০ (FHD) রেজোলিউশন। আপনার চাহিদা যদি সীমিত হয় তবে ৭২০ পি (HD) স্ক্রিনের স্মার্টফোনই ভাল। প্রযুক্তির নিরিখে অবশ্যই LCD স্ক্রিনের থেকে OLED স্ক্রিন ভালো। তবে অবশ্য OLED স্ক্রিনের ফোনের দাম বেশি হয়।
৩) র্যামের পরিমাপ ও প্রসেসেরের মান যত উন্নত হবে, ফোন তত দ্রুত গতিতে কাজ করবে। ভারী গেম হোক বা মাল্টিটাস্কিং, সব কাজই চটজলদি করা যাবে। হ্যাং করবে না।
আরও পড়ুন: ভারতে গ্যালাক্সি এম-সিরিজের তৃতীয় স্মার্টফোনের শুভারম্ভ শীঘ্রই
৪) স্মার্টফোনের ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ব্যাটারি লাইফ। উদাহরণস্বরূপ, YouTube থেকে স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং করার সময় অনেক বেশি ব্যাটারির প্রয়োজন হয়। যদি নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকে তাহলে ফোন যখন নিজের থেকে নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে তখনও চার্জ দ্রুত শেষ হয়। সুতরাং স্মার্টফোন কিনতে যাওয়ার আগে বড় ব্যাটারি এবং দ্রুত চার্জিংয়ের খোঁজ করবেন।
আপনার পছন্দের ফোনটি দোকান থেকে কিনতে যাওয়ার দোকানদারকে যে যে প্রশ্ন করবেন
১) কোনো সমস্যা নেই তো এই ফোনে?
২) এই স্মার্টফোনের রিভিউ কেমন?
৩) আপনার পছন্দের স্মার্টফোনে ওয়ারেন্টি আছে?
৪) ওয়ারেন্টি, দাম, সমস্যা হলে তা সারিয়ে দেওয়ার ওপর কোনো অফার আছে কি?
Read the full story in English