তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। জ্বালাপোড়া গরম থেকে কবে মিলবে মুক্তি? অপেক্ষায় দেশবাসী। এই প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে মানুষের একমাত্র ভরসা এসি। পরিসংখ্যান বলছে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এসির বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ। অনেকেই গরম থেকে রেহাই পেতে এসি কিনছেন ঠিকই কিন্তু জানেন না কোন গ্যাস এসির জন্য ভালো।
এয়ার কন্ডিশনারে প্রধানত তিন ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এই গ্যাসগুলো হল R-22, R-410A, R-32। এ ছাড়া আরও অনেক গ্যাস এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত 800 থেকে 1200 গ্রাম গ্যাস AC তে ব্যবহার করা হয়। একটি এয়ার কন্ডিশনার এর কম্প্রেসারে যে পরিমাণ গ্যাস লাগে তা নির্ভর করে কত টনের এসি, মডেল এবং ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টের ধরণের উপর।
কিন্তু দেখা গেছে, এয়ার কন্ডিশনার মেকানিকরা এসি-তে গ্যাস রিফিলিংয়ের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে যথেচ্ছ দাম নেয়। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এসির গ্যাসের প্রকারভেদ এবং এয়ার কন্ডিশনার ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এর দাম সম্পর্কে বিশদ তথ্য।
সাধারণত, ভারতে এয়ার কন্ডিশনারগুলিতে তিনটি প্রধান ধরণের গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এই গ্যাসগুলো হল R-22, R-410A, R-32। সাধারণত 800 থেকে 1200 গ্রাম গ্যাসের প্রয়োজন হয় এসিতে। গ্যাসের ক্ষমতাও এয়ার কন্ডিশনার এবং কোম্পানির ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
কোন গ্যাস এয়ার কন্ডিশনার জন্য ভাল?
বিভিন্ন রেফ্রিজারেন্টের দাম আলাদা। উদাহরণস্বরূপ, R-22 গ্যাস R-410A এর চেয়ে সস্তা, কিন্তু কম পরিবেশ বান্ধব। এয়ার কন্ডিশনার গ্যাসের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের উপর নির্ভর করে। সাধারণত গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা হতে পারে।
আরও পড়ুন : < Air conditioner: মেকানিক বোকা বানাচ্ছে? জানুন AC-র ইন্ডোর এবং আউটডোর ইউনিটের দূরত্ব কত হওয়া উচিত? >
উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ 1.5 টন এসি-তে প্রায় ১.২ থেকে ১.৫ কেজি গ্যাসের প্রয়োজন হতে পারে। যদি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা হয় এবং সার্ভিস চার্জ ৮০০ টাকা হয়, তাহলে মোট খরচ হতে পারে (১.৫ কেজি × ৭০০ টাকা/কেজি + ৮০০ টাকা) = ১৮৫০ টাকা। এই বিবরণগুলির উপর ভিত্তি করে, আপনি আপনার এয়ার কন্ডিশনার কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং গ্যাস রিফিলিংয়ের খরচ অনুমান করতে পারেন।