একটা সময় ছিল যখন স্মার্ট ফোন থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখার চেষ্টা করতেন অভিভাবকরা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সেই শাসনকে ভিত্তিহীন করে দিয়েছে। এখন ঘরকুনো সকল বাচ্চা। পড়াশোনার জন্য এখন একান্ত প্রয়োজন একটা স্মার্টফোনের। যাদের বাড়িতে ল্যাপটপ কম্পিউটার রয়েছে তাদের সমস্যা সমাধান। কিন্তু যাদের কাছে ল্যাপটপ কম্পিউটার নেই তাদের লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে জরুরি গেজেট। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সেকেন্ডহ্যান্ড অর্থাৎ ব্যবহৃত স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে ভারতে। মূলত বাচ্চাদের অনলাইন জন্যই অভিভাবকরা তাদেরকে কিনে দিচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন। করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে নতুন ফোনের ব্যবসার চেয়ে পুরনো ফোনের ব্যবসার গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
cashify.com এর সিইও মন্দ্বীপ মানোচা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডটকমকে বলেন, মহামারী পরিস্থিতিতে অভূতপূর্বভাবে ভারতে পুরনো স্মার্টফোন কেনার চাহিদা বেড়েছে। আমরা দেখেছি বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের হাতে নিজেদের ফোন দিতে পারছেন না কারণ তাদের নিজেদের অফিসের কাজ বা ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য তাদের ফোন ঘণ্টার পর ঘন্টা সন্তানদের হাতে দিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে অনলাইন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ফোনের। অগত্যা তারা বাচ্চাদের জন্য কিনে দিচ্ছে পুরনো স্মার্ট ফোন।
শুরু শুরুতে পুরনো ফোন কেনার চাহিদা ছিল কুড়ি শতাংশ বর্তমানে এক লাফে সেই চাহিদা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।
একই কথা বলেছেন OLX সংস্থা। তারাও জানিয়েছেন জুলাই মাস থেকে পুরনো স্মার্ট ফোন কেনার প্রবণতা বেড়েছে ১০৯ শতাংশ। সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর কথায়, বাড়ি থেকে কাজ অবশ্যই প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা কে বাড়িয়ে তুলেছে। যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না তারাও এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছেন। অ্যাপেল স্যামসাং রিয়েলমি ওপো ভিভো ওয়ান প্লাস এবং শাওমি সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুধু তাই নয়, পুরোনো ফোনের পাশাপাশি বেড়েছে ১০০০০ টাকার মধ্যে ফোনের চাহিদা।
Read the full story in English