ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চন্দ্রযান-৩ শুক্রবার ১৪ জুলাই ভারতীয় সময় দুপুর ২টো ৩৫ নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপিত হবে। এই উৎক্ষেপণ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ দেখাবে ইসরো। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ বা এলভিএম-৩ মহাকাশযানে রয়েছে চন্দ্রযান-৩ মিশরের ল্যান্ডার, রোভার এবং প্রপালশন মডিউল।
Advertisment
লাইভ স্ট্রিমিং এর উৎক্ষেপণ ইসরোর ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে স্ট্রিম করা হবে। উৎক্ষেপণের আগে ১৪ জুলাই দুপুর ২টোয় লিংক ইসরো তার লিংক দিয়ে দেবে। নীচের সেই লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন এই উৎক্ষেপণ। অথবা, গোটা অভিযানপর্বে indianexpress.com-এও লাইভ আপডেট দেওয়া হবে। সেখানেও ক্লিক করতে পারেন।
লাইভস্ট্রিমের সময় কী আশা করা যায়?
চন্দ্রযান-৩ হল চন্দ্রযান-২ মিশনের উত্তরসূরি। এর মধ্যে চন্দ্রযান-২ মিশন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চন্দ্রপৃষ্ঠে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ঠিক তার পূর্বসূরির মত, চন্দ্রযান-৩-এ একটি ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন রয়েছে। একটি প্রপালশন মডিউল দ্বারা তা চন্দ্রের কক্ষপক্ষে ১০০ কিলোমিটার নিয়ে যাওয়া হবে।
নিরাপদে উৎক্ষেপণ, সঠিক অবতরণ লক্ষ্য এই অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল, মিশনের ল্যান্ডার বিক্রমের জন্য চাঁদে নিরাপদে অবতরণ। যদি ইসরো এটি বন্ধ করে দেয়, তাহলে ভারত হবে চাঁদে সুষ্ঠুভাবে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ। তালিকায় আগে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিন। ইজরায়েল এবং জাপানও চন্দ্রের পৃষ্ঠে নিরাপদে অবতরণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, প্রাইভেট স্পেস কোম্পানির নেতৃত্বাধীন সেই চেষ্টা ভারতের আগেরবারের চেষ্টার মতই সাম্প্রতিক অতীতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন- href="http://dashboard.thepublive.com//bengali.indianexpress.com/explained/chandrayaan-three-will-launch-tomorrow-646601">শুক্রবার ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণ, আগের থেকে আদৌ শিক্ষা নেওয়া হয়েছে?
চন্দ্রযানে প্রচুর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি রয়েছে ল্যান্ডার এবং রোভার দুটির মধ্যে নানা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আছে। যদিও প্রোপালশন মডিউলের প্রধান কাজ হল লঞ্চ ভেহিকেলটি উৎক্ষেপণ সম্পূর্ণ করার পর অভিযানকে সম্পূর্ণ করার জন্য তাকে চূড়ান্ত চন্দ্র কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া। এটিও প্রচুর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করবে। সেই যন্ত্রপাতি ল্যান্ডারটি পৃথক হওয়ার পরে কাজ শুরু করবে।