নোকিয়া, স্যামসাং বা গ্যাজেট সেলেব অ্যাপেল নয়, ব্যবসার সাফল্যের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে নাম লিখিয়েছে হুয়াওয়ে। আগেভাগে তারাই গ্যাজেট মার্কেটে জানান দিয়ে দিল ফ্লোল্ডেবল স্ক্রিনের কথা। অবশ্য কানাঘুষো এতদিন শোনা গিয়েছিল যে ২০১৯ সালে নামিদামি স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো নিয়ে আসবে ভাঁজ করা স্ক্রিন। জার্মানের প্রকাশনা Die Welt, থেকে জানা যায়, হুয়াওয়ের সিইও রিচার্ড ইউ, নির্দেশ করেছেন যে আগামী বছরের মধ্যে একটি ফোল্ডেবল স্ক্রিনের স্মার্টফোন লঞ্চ করার পরিকল্পনা রয়েছে। "আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করছি। অপেক্ষা আর এক বছর।"
বেজেল লেসের দিন ফুরিয়ে এল বলে। এবার পালা ভাঁজ করা স্ক্রিনের। কিন্তু কেমন দেখতে হবে এই ফোন? কটা স্ক্রিন থাকবে ? কি ভাবে কাজ করবে ? সব মিলিয়ে নানা প্রশ্ন অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানি থেকে গ্রাহকদের মনে। হুয়াওয়ে সিইও রিচার্ড ইউ দাবি করেছেন যে এই আপকামিং মোবাইল ডিভাইস আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটারের কে জায়গা নেবে।
ইয়ু এর মন্তব্য থেকে জানা যায়, যখন নভেম্বরে স্যামসাং তাদের ফোল্ডেবেল স্ক্রিনের পরিকল্পনা করছে। তখন হুয়াওয়ে শুরু করে দিয়েছে ভাঁজ করা স্ক্রিনের স্মার্টফোনের কাজ। ইতি মধ্যে নিয়ম মেনে ছড়িয়ে গেছে গুজব। ৭ ইঞ্চির OLED ডিসপ্লে সহ এই ডিভাইসটিতে একটি স্ক্রিনের দুটি দিক থাকার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
গ্যাজেট দুনিয়ায় নয়া ডিসপ্লে নিয়ে আসার তালিকায় নাম লিখিয়েছে স্যামসংও। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র দ্য বেল-এ প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী আগামী বছর ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ফোল্ডেবেল স্ক্রিন সহ গ্যালেক্সি টেন নিয়ে আসছে স্যামসং। খুব সম্ভবত বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে শোকেস করা হবে এই ফোনটি।
সুত্রের খবর এই স্মার্টফোনটি “Winner” কোডনেম বহন করবে। কিন্তু শুরুতে “Valley” কোডনেম হতে পারে এমনই আভাস দিয়েছিল স্যামসং। ৩.৫ ইঞ্চির OLED স্ক্রিনটি হবে ৩ ভাঁজ করা ডিজাইনের, যার একদিক থাকবে বাইরে, এবং অন্য দুটো অংশ থাকবে ভিতরের দিকে। যখন দুটো স্ক্রিন খোলা হবে তখন ফোনটির ডিসপ্লের পরিমাপ হবে ৭ ইঞ্চি। এই ফোনটির অন্যতম সুবিধা হবে যখন ফোনটির দুটি প্যানেল ভিতরের দিকে থাকবে, তখন বাইরের দিকে থাকা প্যানেলের সাহায্যে অনায়াসে কাজ করা যাবে।