বেজেল লেস স্ক্রিনের জামানা প্রায় শেষ। এবার পালা ফোল্ডেবেল স্ক্রিনের। এত দিন হুবহু অ্যাপেলের আইফোন টেনের স্ক্রিন নকল করে একচেটিয়া বাজার করেছে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো। এবার তবে নকল নয়, প্রত্যেকটা কোম্পানি নিজেদের মত করে বাজারে নিয়ে আসছে ফোল্ডেবল স্ক্রিনের ফোন। এই দলে নাম লিখিয়েছে স্যামসং,অ্যাপেলের সঙ্গে হুয়াওয়ে।
একটি রিপোর্টে হুয়াওয়ে জানিয়েছে বেজিং ওরিয়েন্টাল ইলেকট্রনিক্স (BOE) থেকে নেওয়া হবে OLED প্যানেল। ২০১৯ এর মধ্যেই এই ফোনের আগমন ঘটবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। হুয়াওয়ে কোম্পানি অ্যাপেলকেও তাদের আইফোনের জন্য OLED প্যানেল বিক্রি করে থাকে। ফোনের স্ক্রিন আকর্ষণীয় করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ইয়ুয়ানতা ইনভেস্টমেন্ট কনসাল্টিংয়ের বিশ্লেষক জেফ পিইয়ের মতে, চিনের কোম্পানিটি এই শিল্পে শীর্ষ স্থান দখলের জন্য লড়ছে। স্পষ্টতই, হুয়াওয়ে বাজারে বিশ্বের প্রথম ফোল্ডেবেল স্মার্টফোন নিয়ে এসে স্যামসাংয়ের জয় যাত্রায় কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে চায়।
তবে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন পরিকল্পনায় শুধুমাত্র তারা একাই নেই। এই দলে রয়েছে অ্যাপেল-স্যামসাংও। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র দ্য বেল-এ প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী আগামী বছর ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ফোল্ডেবেল স্ক্রিন সহ গ্যালাক্সি টেন নিয়ে আসছে স্যামসং। খুব সম্ভবত বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে শোকেস করা হবে এই ফোনটি। সুত্রের খবর এই স্মার্টফোনটি “Winner” কোডনেম বহন করবে। কিন্তু শুরুতে “Valley” কোডনেম হতে পারে এমনই আভাস দিয়েছিল স্যামসং। ৩.৫ ইঞ্চির OLED স্ক্রিনটি হবে ৩ ভাঁজ করা ডিজাইনের, যার একদিক থাকবে বাইরে, এবং অন্য দুটো অংশ থাকবে ভিতরের দিকে। যখন দুটো স্ক্রিন খোলা হবে তখন ফোনটির ডিসপ্লের পরিমাপ হবে ৭ ইঞ্চি। এই ফোনটির অন্যতম সুবিধা হবে যখন ফোনটির দুটি প্যানেল ভিতরের দিকে থাকবে, তখন বাইরের দিকে থাকা প্যানেলের সাহায্যে অনায়াসে কাজ করা যাবে।