Advertisment

"চাঁদে মজবুত বাড়ি বানাতে প্রয়োজন মানুষের প্রস্রাব"

কংক্রিটের ঘাঁটি গড়তে প্রয়োজনীয় জলের পরিমাণ হ্রাস পাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চাঁদে ঘাঁটি গড়তে চায় নাসা। তাও আবার কংক্রিটের। কিন্তু পৃথিবী যে কংক্রিটের অত্যাচার সহ্য করে আসছে, তা কি হজম করতে পারবে চাঁদ? এই প্রশ্নেই শুরু হয় গবেষণা। চাঁদে অট্টালিকা বানানো হচ্ছে না। কিন্তু বিজ্ঞানে ভর করে ঘরের মত জায়গা তৈরি করতে চাইছে নাসা। গবেষণায় যে তথ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তা বড়ই অদ্ভুত। চাঁদের কংক্রিটের কিছু তৈরি করতে গেলে প্রয়োজন হবে মানুষের প্রস্রাব। এমনটাই জানিয়েছে, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি।

Advertisment

এই স্পেস এজেন্সির গবেষণা অনুসারে, প্রস্রাবের মধ্যে পাওয়া প্রধান জৈব যৌগটি চূড়ান্ত আকারে শক্ত হওয়ার আগে "চাঁদের কংক্রিট" এর মিশ্রণটিকে পক্ত করবে। চাঁদের কংক্রিটের একটি জিওপলিমারের মিশ্রণ, যা কংক্রিটের অনুরূপ। গবেষণায় দেখা গেছে যে এই মিশ্রণে ইউরিয়া যুক্ত করা জলের প্রয়োজন। যা অন্যান্য উপাদানের চেয়ে ভালো কাজ করবে।

publive-image চন্দ্র মাটির মিশ্রণ

এটি থ্রি ডি প্রিন্টার ব্যবহার করে ইউরিয়া দিয়ে একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। যা শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে এবং উন্নত কার্যক্ষমতাও বজায় রেখেছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, মিশ্রণের একটি গুণ হল, সহজেই মিশে যেতে পারে যা দিয়ে ঢালাই করা সম্ভব, এবং এটি নিজের চেয়ে ১০ গুণ ওজনের ভারী কিছু বহন করতে পারবে।

"বিজ্ঞানীদের এই অন্যান্য উপকরণের তুলনায় এই নতুন উচ্চ শক্তি মানের মিশ্রণ বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে, পাশাপাশি আমরা চাঁদে যা ইতিমধ্যে ব্যবহার করতে পেরেছি তা দ্বারাও আকৃষ্ট হয়েছে," বলেছেন গবেষণার উদ্যোগী এবং সহ-লেখক মার্লিস আরনহফ ।

নির্মাণ উপাদানের প্রধান উপাদানটি চাঁদের পৃষ্ঠের যে কোনও জায়গায় পাওয়া যায়। এটি পাউডারের মত, চাঁদের মাটি, যা লুনার রেগোলিথ হিসাবে পরিচিত। কাজেই পৃথিবী থেকে বিপুল পরিমাণে পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। অন্যদিকে ইউরিয়া সুপার প্লাস্টিকাইজার হিসাবে কাজ করার ফলে, কংক্রিটের ঘাঁটি গড়তে প্রয়োজনীয় জলের পরিমাণ হ্রাস পাবে।

Read the full story in English

Advertisment