শুরু হয়েছে নতুন বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত মহাসাগর এবং আন্টার্কটিকা সহ অনেক দেশেই সূর্যগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে দেখা যাবে। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, জাকার্তা, ফিলিপাইন্স এবং দক্ষিণ জাপানের কিছু অংশেও সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা একে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ নাম দিয়েছেন। এ ধরনের গ্রহণ ১০০ বছরে একবারই হয়। চলতি বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ আজ সকাল ০৭.০৫ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১২.২৯ মিনিটে।
বছরের প্রথম ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ ভারতের আকাশে দেখা যাবে না। কম্বোডিয়া, চিন, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, ফিজি, জাপান, সামোয়া, সলোমন, বারুনি, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এই গ্রহন দেখা যাবে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ০৭.০৪ মিনিটে এবং এই সূর্যগ্রহণ শেষ হবে ১২.২৯ মিনিটে। এমন বিরল ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ একশো বছরে একবার হয়।
হাইব্রিড” সূর্যগ্রহণ যাকে Ningaloo Eclipse বলা হয় বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে। প্রকৃতপক্ষে, এটি অস্ট্রেলিয়ার নিঙ্গালু উপকূল থেকে “নিঙ্গালু” নামটি পেয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, সম্পূর্ণ বা আংশিক গ্রহণের কোনও অংশই ভারত থেকে দেখতে পাবেন না।
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সূর্যগ্রহণের সময় আকাশে দেখা যাবে একটি 'অগ্নিবলয়'। আর এই দৃশ্যকেই 'হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ' বলে অভিহিত করছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, রাজ্য তথা দেশবাসী এই গ্রহণ প্রত্যক্ষ করতে পারবে না। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের অমাবস্যার দিনে ঘটে যাওয়া সূর্যগ্রহণ আজ সকাল ০৭.০৪ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ১২.২৯ মিনিটে।
এই সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বেশিও থাকে না আবার কমও থাকে না। এই বিরল গ্রহণের সময়, সূর্য কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটি বলয়ের মতো আকৃতি তৈরি করে, যাকে আগুনের বলয় বলা হয়। যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ সম্পূর্ণভাবে একই সরলরেখায় আসে তখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বা হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ হয়। সেক্ষেত্রে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যের আলোকে ঢেকে দেয়।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে সূর্যের চারিদিকে একটি বলয় দেখা যায়। এক্ষেত্রে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে ঢাকতে পারে না। অপরটি পূর্ণগ্রাস। কিন্তু, এক্ষেত্রে বিরলতম একটি দৃশ্য প্রত্যক্ষ করবেন সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে পৃথিবীর কোনও কোনও অংশের মানুষ বিষয়টিকে দেখবেন বলয়গ্রাস এবং কোনও কোনও অংশের মানুষ তা দেখবেন পূর্ণগ্রাস হিসেবে।
কলকাতা তথা দেশের কোনও অংশ থেকে এই গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হবে না। প্রশান্ত মহাসাগর, নিউজিল্যান্ডে কিছু অংশ, অস্ট্রেলিয়া, ইস্ট টিমোর আইল্যান্ড এবং আংশিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই ধরনের ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণের দৃশ্য অত্যন্ত বিরলতম। যদিও বিশ্বের বহু দেশের মানুষ এই দৃশ্য থেকে বঞ্চিত থাকবেন। কম্বোডিয়া, চিন, আমেরিকা, মাইক্রোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, জাপান, সামোয়া, সলোমন, বেরুনী, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন্স থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার এক্সমাউথ শহর থেকে দেখা গেছে বিরল "হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ"।