Advertisment

ভেজা কাপড় থেকে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ

গবেষকরা জানাচ্ছেন, যে সব গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সেখানকার ধোবিঘাটগুলিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

খড়গপুর আইআইটি গবেষণা বিভাগ জানিয়েছে ভেজা কাপড় শুকোনোর সময় সেখান থেকে তারা বিদ্যুৎ তৈরি করতে সফল হয়েছে। জামাকাপড় কেঁচে তা রোদে শুকোতে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে প্রত্যেকের রোজনামচাতে। আর সেখান থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে খড়গপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অফ টেকনোলজি।

Advertisment

নুন জল তাপের সুপরিবাহী, এই বিষয়টিকেই কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির অভিনব পন্থা আবিষ্কার করল আইআইটির গবেষকরা। নুন জলে ভেজানো জামা কাপড় রোদে মেলে দিয়ে সেখান থেকেই উতৎপন্ন করা হবে বিদ্যুৎ।

এখন প্রশ্ন, কীভাবে বিদ্যুৎ তৈরি সম্ভব হচ্ছে?

গবেষকরা জানিয়েছেন, কিছু উৎপন্ন করতে গেলে নিয়ম অনুযায়ী বাইরের কিছু উপাদান ও পরিবাহকের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ভেজা কাপড়ে উৎপন্ন শক্তিকে বিদ্যুৎ পরিবহণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে। রোদে যখন শুকানো হবে তখন যে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হবে তা এই প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতে উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। নুন জলে ধোয়ার পর বেশি সময় ধরে ভেজা জামাকাপড় সূর্যের আলোয় মেলে রাখা হলে, বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন আইআইটি-খড়্গপুরের গবেষক দল।

কতটা বিদ্যুৎ তৈরি হবে?

এক সংবাদ সংস্থাকে গবেষক সুমন চক্রবর্তী জানিয়ছেন, প্রায় তিন হাজার বর্গমিটার ক্ষেত্রফলের মধ্যে নুন জলে ধোয়া ৫০টি কাপড়ের থেকে সূর্যের আলোয় ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যার সাহায্যে প্রায় ঘণ্টা খানেক জ্বলে থাকতে পারবে সাদা রঙের LED লাইট। উল্লেখ্য,কেন্দ্রীয় সরকারি অনুদানে খড়গপুর আইআইটিতে এই গবেষণা করা হয়েছে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, যে সব গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সেখানকার ধোবিঘাটগুলিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

IIT Kharagpur
Advertisment