দিন দিন বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু। পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ ও ভয় জাগানো দুঃসংবাদে পৃথিবীর আয়ু নিয়ে প্রশ্ন জাগছে বারংবার। দুশ্চিন্তার এই ভীড়ে আশা জাগালো খড়গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞ দল। অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষাকারী ওজোন স্তরকে নিয়ে চিন্তার কারণ নেই, তাতে যে বৃহৎ ছিদ্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তা আস্তে আস্তে সেরে উঠছে, এমনটাই দাবি এই বিশেষজ্ঞদের।
আইআইটি খড়গপুরের মহাসাগর, নদী, বায়ুমণ্ডল ও ভূমি বিজ্ঞান কেন্দ্র (কোরাল) এর একটি গবেষক দল গত শুক্রবার নতুন তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত করেছে যে অ্যান্টার্কটিক ওজোন স্তরে যে বৃহৎ ছিদ্র ছিল তা ধীরে ধীরে বুজে যাচ্ছে। চার দশকের বেশি সময় ধরে চলে গবেষণা, দীর্ঘমেয়াদী অ্যান্টার্কটিক ওজোন স্তরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চলে পরীক্ষা নিরীক্ষা। মাপা হয় ওজোন স্তরের ঘনত্ব।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে মনমতো জায়গা না পেলেও আগ্নেয়গিরির স্পর্শ পেয়েছে ‘ইনসাইট’
গবেষকরা ১৯৭৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ১২-২১ কিলোমিটারে ক্ষতির পরিমান উল্লেখযোগ্যভাবে ২০০১-২০১৭ সালের মধ্যে হ্রাস পেয়েছে। "আমরা গত চার দশক ধরে দেখেছি, এবং ২০০২ সাল থেকে শীতকালে ওজোন স্তরের ছিদ্র হ্রাস পায়," বলেন অধ্যাপক জয়নারায়নন কুট্টিপুরথ। আইআইটি খড়গপুরের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছেন পঙ্কজ কুমার, প্রিজিত জে. নায়ার ও পি. সি. পাণ্ডে।
আরও পড়ুন: জীবনদায়ী অঙ্গ বয়ে নিয়ে যাবে ড্রোন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় স্টেশন মৈত্রী থেকে সংগৃহিত পরিমাপ সহ অ্যান্টার্কটিকা স্টেশন থেকে কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখান থেকেই জানা যায় সাম্প্রতিক কালে প্রায় ২০ থেকে ৬০ শতাংশ ছিদ্র হ্রাস পেয়েছে। অধ্যাপক কুট্টিপুরথ বলেন যে দক্ষিণ গোলার্ধে ওজোন স্তরে ক্ষতির কারণে দক্ষিণ গোলার্ধের জলবায়ুতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল, বর্তমানে সেই ক্ষতিও সেরে উঠেছে। "তবে ওজোন পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াটি খুব ধীরগতির এবং পূর্ব-ওজোন গহ্বরের মাত্রা ফিরে পেতে আরও কয়েক দশক সময় লাগবে," জানান পান্ডে।