Agnibaan - SOrTeD: ভারতীয় মহাকাশ মিশনের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত, 'অগ্নিবান' রকেটের সফল উৎক্ষেপণ, জেনে নিন এর বিশেষত্ব!
বৃহস্পতিবার ভারতীয় মহাকাশ মিশনের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। চেন্নাই-ভিত্তিক মহাকাশ স্টার্ট-আপ অগ্নিকুল কসমস সফলভাবে শ্রীহরিকোটায় লঞ্চ প্যাড থেকে তার স্ব-নির্মিত 3D-প্রিন্টেড 'সেমি-ক্রায়োজেনিক' 'অগ্নিবান' রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। চারটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে, বৃহস্পতিবার কোনও লাইভ-স্ট্রিমিং ছাড়াই সফল হয় অভিযান। এই সময়ে, ISRO-এর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে অবস্থিত শ্রীহরিকোটা লঞ্চ প্যাডে খুব কম লোকই উপস্থিত ছিলেন।
চেন্নাই-ভিত্তিক মহাকাশ স্টার্ট-আপ অগ্নিকুল কসমস সফলভাবে তার 3D-প্রিন্টেড 'সেমি-ক্রায়োজেনিক' 'অগ্নিবান' রকেট আজ (30 মে), বৃহস্পতিবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে।এর আগে ভারতীয় মহাকাশ স্টার্টআপ আরও ৪ বার এই রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি। এটি প্রায় 700 কিলোমিটার কক্ষপথে 300 কেজি পর্যন্ত একটি পেলোড বহন করতে পারে।
ISRO-র তরফে তার এই সাফল্যের জন্য অগ্নিকুল কসমসকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে । ISRO টুইটারে একটি পোস্ট শেয়ার করে বলেছে, 'লঞ্চ প্যাড থেকে অগ্নিবান SoRTed-01 মিশনের সফল উৎক্ষেপণের জন্য অগ্নিকুল কসমসকে অভিনন্দন। এটি একটি বড় অর্জন। তাদের SOrTeD অভিযানের আওতায়, রকেটটির উৎক্ষেপণ হয়। মহাকাশ অভিযানে দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিতে এই অভিযান অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে'।
সেমি ক্রায়োজেনিক 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিন নির্ভর ওই মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ হল মাত্র দু'মিনিটে। SorRTed অভিযানের আওতায় প্রথমে ৭ এপ্রিল Agnibaan মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায়, বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটির উৎক্ষেপণ হয়।
পবন গোয়েঙ্কা, চেয়ারম্যান, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACE) টুইটারে শেয়ার করেছেন, “আমি অগ্নিকুল কসমসের অগ্নিবান SOrTeD সফল উৎক্ষেপণে খুবই খুশি। ভারতের মহাকাশ গবেষণার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই অর্জন আমাদের তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা প্রতিফলিত করে"।
'Agnibaan'-র উৎক্ষেপণ আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ, এই রকেটে তরল এবং গ্যাস প্রপেলেন্টের মিশ্রণ সহ একটি সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ISRO এখনও তার কোনো রকেটে ব্যবহার করেনি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এই 3D প্রিন্টেড রকেট ইঞ্জিনটি তৈরি হয়েছে। 3D রকেট ইঞ্জিনে বেশি জ্বালানিও খরচ হয় না। আগামী দিনে মহাকাশ অভিযানে 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়লে, যথেষ্ট টাকাও বাঁচবে। অগ্নিকুল কসমসের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা সত্যনারায়ণন আর চক্রবর্তী বলেছেন, “আমরা ভারতের প্রথম সেমি-ক্রাইও রকেট ইঞ্জিন চালু করতে পেরে গর্বিত"।