প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে তুমুল বিতর্কের পর পিছু হটেছে WhatsApp কর্তৃপক্ষ। কারও ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে চ্যাট বা কথোপকথন দেখতে পারবে না, রীতিমতো স্টেটাস আপডেট করে গ্রাহকদের নিশ্চিত করেছে WhatsApp। কিন্তু তাতেও বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রাহকরা। বিপুল হারে আনইনস্টল শুরু হয়েছে কোটি কোটি গ্রাহকদের মধ্যে। এবার ভারত সরকার WhatsApp কর্তৃপক্ষকে প্রাইভেসি পলিসিতে বদল তুলে নিতে বলল।
WhatsApp-এর সিইও উইল ক্যাথকার্টকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশ্বের মধ্যে ভারতই হল গ্রাহকদের নিরিখে বৃহত্তম বাজার WhatsApp-এর। কিন্তু সম্প্রতি, WhatsApp-এর নিয়মাবলি ও প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সংশয় ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যা তাঁদের মেসেজিং অ্যাপ নিয়ে ভয় তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রক WhatsApp কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, দ্রুত যেন তারা প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত বদল থেকে সরে আসে। কারও ব্যক্তিগত তথ্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যসুরক্ষায় হস্তক্ষেপ যেন না করে WhatsApp। কোনওরকম বদল অযৌক্তিক ও বরদাস্ত করা হবে না বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
আরও পড়ুন নয়া আপডেট পিছোচ্ছে whatsapp-এর, নতিস্বীকার সংস্থার
এদিকে, গোটা বিশ্ব উত্তাল WhatsApp-এর প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার খাতিরে ভারতে WhatsApp এবং Facebook নিষিদ্ধ করার ডাক দিল বণিক মহল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি লিখে মেসেজিং অ্যাপ ও তার প্যারেন্টিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা CAIT।
বণিক সভা জানিয়েছে, নয়া প্রাইভেসি পলিসির কারণে সবরকম ব্যক্তিগত তথ্য, পেমেন্ট লেনদেন, কন্ট্যাক্টস, লোকেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য WhatsApp এবং এই মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে Facebook ব্যবহার করতে পারবে। অরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে বণিক সভা দাবি জানিয়েছে, কেন্দ্র অবিলম্বে যেন WhatsApp-কে প্রাইভেসি পলিসি কার্যকর করতে না দেয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন