ইন্টারনেট ব্যবহারে ভীত ভারতের মহিলারা। কিন্তু কেন? গত মঙ্গলবারের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতে মহিলারা কম ব্যবহার করেন ইন্টারনেট পরিষেবা। মূলত গ্রামীন এলাকায় মহিলারা যথেষ্ট আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় ব্যবহার করেন না স্মার্টফোন। যে কারণে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা থেকেও পিছিয়ে রয়েছেন তাঁরা। ভারতে মাত্র ৪৩ শতাংশ মহিলার কাছে রয়েছে নিজস্ব ফোন, যেখানে ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ পুরুষ ব্যবহার করেন স্মার্টফোন। বস্তুত মহিলারা অনেক কম ব্যবহার করেন যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। পাকিস্তান বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই একই ছবি দেখা গিয়েছে।
লিঙ্গ ভেদে ইন্টারনেট ব্যবহারেও যে বৈষম্য রয়েছে, তার মধ্যেও ৩৪ শতাংশ শহুরে এবং ৫২ শতাংশ পার্থক্য রয়েছে গ্রামীন এলাকার মহিলা ও পুরুষের মাঝে। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মূলত বাংলাদেশে বেশি পরিমাণে লিঙ্গ ভেদে ইন্টারনেট ব্যবহারের মধ্যে ফারাক রয়েছে।
সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বিশেষ সচিব শ্রী সিভাসাইলাম বলেন, "এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে। তবে ভালো খবর, আমরা বেসলাইনে পৌছাতে পেরেছি।"
গবেষণায় দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের কারণে প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস হারিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং কম্বোডিয়ায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ফলত সম্প্রতি কমে গেছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা।
LIRNEAsia-র সিইও হেলানি গালপায়া বলেন, "দরিদ্রতম দেশগুলির চেয়ে ভারত এগিয়ে রয়েছে। রিপোর্টটির নেপথ্যে ছিল সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি এবং কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র।
সমীক্ষায় পাওয়া গেছে:
১) ৬৪ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন তাঁরা ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন না - পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য দেশের তুলনায় ভারত গড় হিসেবে এগিয়ে। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মহিলা গ্রামাঞ্চলের।
২) ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার নাইজেরিয়া, ঘানা, কেনিয়া এবং কম্বোডিয়ার তুলনায় ১৯ শতাংশ কম।
৩) তবে অনলাইন কেনাবেচায় পাকিস্তান, বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে ভারত।
৪) ২৭ শতাংশ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করলে তার মধ্যে ১৬ শতাংশ বিনোদন এবং ১১ শতাংশ খবর দেখার জন্য ব্যবহার করেন।
৫) সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু মহিলা পড়াশোনা ও কেনাবেচার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। এবং অন্য একদল পুরুষ শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহার করেন।
৬) রাজনৈতিক হোক বা সেক্সুয়াল ওরিয়েনটেশন, তথ্য শেয়ারে পিছিয়ে রয়েছেন মহিলারা।