দেশে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে 5G পরিষেবা। সেই সঙ্গে ইতিমধ্যে 6G-এর জন্য কাজ শুরু হয়েছে বলে ইঙ্গিত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে এক দশকের মধ্যেই ভারতে আসতে চলেছে 6G পরিষেবা, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতে আসতে চলেছে 6G পরিষেবা।
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক ভাষণে মোদী বলেন, ‘দেশে ইতিমধ্যেই 6G পরিষেবার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে’। তিনি আরও বলেন ‘5G এবং 6G নেটওয়ার্ক চালু করার ফলে কেবল দুর্দান্ত ইন্টারনেট কানেকশনই নয় সেই সঙ্গে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে চলেছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে’।
ভারত কীভাবে দ্রুত 3G থেকে 4G-তে উন্নীত হয়েছে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদী বলেন, ‘এখন 5G পরিষেবার পাশাপাশি দেশে 6G নেটওয়ার্ক চালু করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি সর্বশেষ নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণের উপর আরও জোর দিয়ে বলেন, এটি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে বৃহত্তর স্বার্থকে ত্বরান্বিত করবে’। তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব 5G পরিষেবা চালু করে 6G পরিষেবাতে উন্নতীকরণ প্রয়োজন’।
ভারতে 5G কবে চালু হচ্ছে?
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশে 5G নেটওয়ার্ক চালু হবে বলেই আশা। যদিও এর জন্য নির্দিষ্ট কোন টাইমলাইন না থাকলেও, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে উপলব্ধ হবে 5G পরিষেবা, ভারত সরকারের তরফে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
5G স্পেকট্রাম নিলাম জুনের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একবার এটি হয়ে গেলে, আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে ভারতে 5G এর রোলআউট আশা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন 5G লঞ্চ ভারতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। $450 বিলিয়ন ডলার (প্রায় 3,492 কোটি টাকা) আর্থিক বৃদ্ধি হবে বলেই আশা।
এখানে মনে রাখা দরকার যে 5G নেটওয়ার্ক প্রথমে ভারতের শুধুমাত্র ১৩টি বড় শহরের জন্য উপলব্ধ হবে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, দিল্লি, গুরুগ্রাম, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, চণ্ডীগড়, জামনগর, আহমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, লখনউ এবং গান্ধী নগর।