New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/04/W3n54JPTPgg94lMfvi17.jpg)
Astronaut Subhanshu Shukla: ভারতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা। (প্রতীকী ছবি)
Astronaut Subhanshu Shukla: নাসা-ইসরো যৌথ অভিযানে অ্যাক্সিওম-৪ মিশন এখন ১০ জুন বিকেলে উৎক্ষেপণ হবে। ভারতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা আইএসএস-এ নিয়ে যাবেন সাতটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার দায়িত্ব। জানুন বিস্তারিত।
Astronaut Subhanshu Shukla: ভারতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা। (প্রতীকী ছবি)
Indian Astronaut: নাসা-ইসরো যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের উৎক্ষেপণ এখন পিছিয়ে ১০ জুন বিকেল ৫:৫২-এ নির্ধারিত হয়েছে। আগে এটি ৮ জুন হওয়ার কথা ছিল। এই অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা-সহ মোট ৪ জন মহাকাশচারী অংশ নিচ্ছেন।
এই অভিযানটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস ও স্পেসএক্সের সহযোগিতায় পরিচালিত এবং এতে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির মহাকাশচারীরা অংশ নিচ্ছেন। মিশনের কমান্ডার হলেন অভিজ্ঞ মার্কিন নভোচারী পেগি হুইটসন, যিনি মহাকাশে ৬৭৫ দিন কাটিয়েছেন। শুভাংশু শুক্লা মিশনের পাইলট হিসেবে যাচ্ছেন এবং মাইক্রোগ্রাভিটি-সংক্রান্ত ৭টি ভারতীয় গবেষণার দায়িত্বে থাকবেন।
আরও পড়ুন- Wifi এসি নাকি Non Wifi এসি? বিদ্যুৎ বিলে বিরাট সাশ্রয় কোনটিতে? জানেন না ৯০% মানুষ'ই
এই গবেষণাগুলির মধ্যে থাকবে স্টেম সেল গবেষণা, কৃষিবীজ এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের বিশ্লেষণ। শুক্লা জানিয়েছেন, তিনি এই মিশনের মাধ্যমে ভারতীয় বিজ্ঞানের উন্নয়নের পথে বড় অবদান রাখতে চান।
এই গবেষণাগুলির মধ্যে থাকবে স্টেম সেল গবেষণা, কৃষিবীজ এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের বিশ্লেষণ। শুক্লা জানিয়েছেন, তিনি এই মিশনের মাধ্যমে ভারতীয় বিজ্ঞানের উন্নয়নের পথে বড় অবদান রাখতে চান। অ্যাক্সিওম স্পেস জানিয়েছে, আবহাওয়ার অনুকূল অবস্থা এবং নিরাপদ প্রস্তুতির জন্য এই পরিবর্তন করা হয়েছে। শুভাংশু শুক্লা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মহাকাশ অভিযানের নম্বর নিয়ে রীতিমতো উৎসাহী। নম্বরটা হল ৭৩৬। যা ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন- তীব্র গরমে গাড়ি ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে! এসি ঠিকঠাক কাজ না করলে এখনই জেনে নিন এই টিপসগুলি
এই অভিযানে জিরো-গ্র্যাভিটি ইন্ডিকেটর হিসেবে 'জয়' নামে রাজহাঁস আকৃতির একটি প্লাশি ব্যবহার করা হবে। রাজহাঁসকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে জ্ঞান ও সৌন্দর্যের প্রতীক এবং দেবী সরস্বতীর বাহন বলে ধরা হয়। এই ছোট ইন্ডিকেটর বুঝিয়ে দেবে যে, মহাকাশচারীরা জিরো গ্র্যাভিটি অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন।
আরও পড়ুন- বছরের সেরা অফার! Blue Star, Samsung, Lloyd ১.৫ টন এসি কিনুন স্মার্টফোনের দামে
শুক্লা বলেন, 'এই মিশনের প্রভাবে যদি অন্তত একজন ছাত্রও মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত হন, সেটাই হবে আমার কাছে বিরাট পাওনা। আমি মনে করব যে এই অভিযান সফল।' আগামী দুই সপ্তাহ আইএসএস-এ কাটিয়ে এই মহাকাশচারীরা ফিরে আসবেন। সঙ্গে নিয়ে আসবেন একগুচ্ছ অভিজ্ঞতা আর গবেষণার ফলাফল।
ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মাই তাঁর অনুপ্রেরণা। একথা জানিয়ে নিজের মহাকাশ অভিযান প্রসঙ্গে শুক্লা বলেন, 'স্টেম সেল থেকে শুরু করে ফসলের বীজ পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব আমি দেখব। এই পরীক্ষাগুলি মাইক্রোগ্রাভিটি বিজ্ঞানে ভারতের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে'