নৈনিতালের আর্যভট্ট গবেষণা ইনস্টিটিউট অব অবজারভেশনাল সায়েন্সেসের (এআরআইইএস) পিএইচডি বিভূতি কুমার ঝা এর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সৌর গবেষকদের একটি দল ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করা সানস্পটগুলির বিভিন্ন আচরণের অধ্যয়ন করার পরে সূর্যের একটি ঘূর্ণন প্রোফাইল তৈরি করেছে। যা দেখে স্পষ্ট হচ্ছে যে সূর্যের চরিত্রে বদল এসেছে। বদলে গিয়েছে ঘূর্ণন গতি। তবে কি সৌর ঝড়ের কোনও ইঙ্গিত রয়েছে? সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সৌর পৃষ্ঠের শীতল অঞ্চলগুলিতে সানস্পটগুলির ছোট ছোট ও অন্ধকার স্পট রয়েছে সেখানে শক্তিশালী চৌম্বকীয় শক্তি রয়েছে। সূর্যের যে ঘূর্ণন গতি রয়েছে তা সানস্পটগুলি তুলনায় অনেক ধীর গতিতে ঘুরছে। বিভূতি কুমার ঝা বলেন, “বড় বড় সানস্পটগুলির চারপাশে শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলির উপস্থিতির জন্য দ্রুত ঘোরার ক্ষেত্রে তা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এটি ছোট ছোট সানস্পটগুলির বিপরীতে ঘুরছে, যা তুলনামূলকভাবে কম তীব্র চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে দ্রুত ঘোরানোর কাজে আসছে।"
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এআরআইএসের গবেষকরা পুরানো ফটোগ্রাফ এবং ফিল্ম থেকে প্রাপ্ত সানস্পট চিত্রের কয়েক হাজার ডিজিটালাইজড চিত্র গবেষণা করেছেন। এছাড়াও, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স দ্বারা পরিচালিত, কোডাইকানাল সোলার অবজারভেটরি ১৯০৪ সাল থেকে রেকর্ড করা প্রায় ৪০ লক্ষ ফোটোর সংগ্রহশালা থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সেগুলির সবগুলিই ডিজিটালাইজড ভার্সান দেখে এই সিদ্ধান্তে এসেছে।
সূর্যের নির্দিষ্ট ভর রয়েছে, সেই মতোই আবর্তন রেট হয়। সূর্যের ক্ষেত্রে এই ঘূর্ণনের হার কিন্তু বিভিন্ন। যা পৃথিবীর মত একেবারেই নয়। দেখা গিয়েছে, সৌর নিরক্ষীয় অঞ্চলটি অনেকটা দ্রুত ঘোরে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন অক্ষাংশে আবর্তিত অঞ্চলের আচরণগুলি বুঝতে সূর্যের বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যের স্পটগুলি সঠিকভাবে ট্র্যাক করার চেষ্টা করেছেন।
সানস্পট এবং সৌরচক্র বিজ্ঞানীদের অতীতের সূর্যের আচরণ বুঝতে সহায়তা করেছে। এগুলি সূর্যের ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন